জানা যায় এরমধ্যে আসামের ৫টি, বিহারের ৫, ছত্তিশগড়ের ৩, কাশ্মীরের ২, কর্ণাটকের ১৪, মহারাষ্ট্রের ১০, মনিপুরের ১, উড়িষ্যার ৫, তামিলনাড়ুর ৩৯, ত্রিপুরার ১, পশ্চিমবঙ্গের ৩ এবং পুড়ুচেরির ১টি আসন রয়েছে। সবমিলিয়ে সাত দফায় অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের সবশেষ দফা অনুষ্ঠিত হবে ১৯ মে।
এদিন লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি কয়েকটি জায়াগায় বিধানসভা উপনির্বাচনেও ভোটগ্রহণ হবে।
এক সপ্তাহ আগে ১১ এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচনে ৬৯.৪৩ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের দু’টি আসনে ভোট পড়েছিল ৮০ শতাংশেরও বেশি, আর সবচেয়ে কম ভোট পড়ছিল বিহারে। প্রথম ধাপে ভোট হয় ২০টি রাজ্য-অঞ্চলের ৯১টি আসনে।
প্রথম দফার ভোটগ্রহণের সময় দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশে নির্বাচনী সহিংসতায় দুইজনের প্রাণহানি হয়। রাজ্যের অনন্তপুর জেলার তাদিপত্রি আসনের বীরাপুরাম গ্রামে দুই রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
ভোটার কতো
প্রায় ১৩২ কোটি জনগোষ্ঠীর ভারতে এবার ভোট দেবেন প্রায় ৯০০ মিলিয়ন বা ৯০ কোটি ভোটার। ভোট কেন্দ্র থাকবে ১০ লাখেরও বেশি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন ৮১ কোটি ৪৫ লাখ ভোটার। এবার নতুন অর্থাৎ ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়সী ভোটার প্রায় দেড় কোটি। ২০১২ সাল থেকে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়ে আসা তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী থেকে এবার ভোটার ৩৮ হাজার ৩২৫ জন।
সরকার গড়তে যতো আসন প্রয়োজন
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ জনগোষ্ঠীর দেশ ভারতের সংসদ দ্বিকক্ষ-বিশিষ্ট। এরমধ্যে একটি হলো লোকসভা, এটি নিম্নকক্ষ; আরেকটি রাজ্যসভা, সেটি উচ্চকক্ষ। লোকসভায় মোট আসন ৫৪৫। এর মধ্যে ৫৪৩ আসনে সরাসরি নির্বাচন হয়। বাকি দু’টি আসনে অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান প্রতিনিধিকে মনোনীত করে আনা হয়। সরকার গঠনের জন্য লোকসভায় ২৭২ আসনের প্রয়োজন। রাজ্যসভার সদস্য সংখ্যা ২৫০। এরা রাজ্য বা অঞ্চলগুলোর বিধানসভার সদস্যদের ভোটে রাজ্যসভায় আসেন।
এক নজরে বিগত নির্বাচন
গত ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ষোড়শ লোকসভা নির্বাচনে নজিরবিহীন জয় পেয়ে সরকার গড়ে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপির জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স। ১৯৮৪ সালের পর প্রথমবারের মতো একক দল হিসেবে সরকার গঠনের মতো আসন পেয়ে যায় বিজেপিই। পদ্মফুল ফুটেছিল ২৮২ আসনে। বিজেপি জোটের অন্য দলগুলো পেয়েছিল ৫৫ আসন। অন্যদিকে আগের সরকার চালানো সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস পায় মাত্র ৪৪টি আসন। তাদের জোটের দলগুলো পায় ১৫ আসন। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস পায় ৩৪ আসন। তামিলনাড়ুর প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার দল এআইএডিএমকে পায় ৩৭ আসন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
জেডএস