বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মাইগা ও তার নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বোবাকার কেইতা। তবে পদত্যাগের ব্যাপারে সেখানে কোনো স্পষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) দেশটির আইনপ্রণেতারা বর্তমান সহিংসতার পেছনে সরকারের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন।
এর আগে গত ২৩ মার্চ স্থানীয় সময় ভোর ৪টায় দেশটির ওগোসাগোও ও ওয়েলিনগারা গ্রামে বন্দুকধারীদের হামলায় দেশটির ফুলানি সম্প্রদায়ের ১৬০ জন নিহত হয়েছিলেন।
স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানান, ঐতিহ্যবাহী ডগন শিকারিদের পোশাক পরে বন্দুকধারীরা গ্রাম দু’টিতে হামলা চালান। মূলত সেখানকার ফুলানি সম্প্রদায়ের মুসলিম ধর্মের অনুসারী অধিবাসীদের বিদ্রোহী সন্দেহে প্রতিপক্ষ ভেবে এ হামলা চালিয়েছেন তারা।
এ হামলার পরই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় দেশটির প্রধানমন্ত্রী সৌমেলৌ বৌবায়া মাইগা সরকারকে।
৩০ মার্চ এ হামলার ঘটনায় পাঁচ সন্দেহভাজনকে আটক করে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। তবে সাম্প্রতিকসহ বিভিন্ন সময়ে দেশটিতে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায়ই নিতে হয়েছে এ সরকারকে।
সম্প্রতি দেশটিতে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে অন্তঃদ্বন্দ্বের পাশাপাশি জঙ্গিগোষ্ঠীর সহিংসতা বেড়ে গেছে। জাতিগত এ দ্বন্দ্বের জেরেই আল-কায়েদা সমর্থিত জঙ্গিগোষ্ঠী এবং ইসলামিক স্টেট (আইএস) মালি এবং পার্শ্ববর্তী দেশ বুরকিনা ফাসো ও নাইজারে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে আসছে।
২০১৩ সাল থেকে দেশটিকে এসব জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে সহায়তা করছে ফ্রান্সের নিরাপত্তা বাহিনী। বর্তমানে আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে ফ্রান্সের প্রায় সাড়ে চার হাজার সেনা সদস্য রয়েছেন। পাশাপাশি সেখানে মোতায়েন রয়েছে মার্কিন সৈন্যও।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৯
এসএ/টিএ