কাসার বিন ঘাশির কেন্দ্র থেকে ওই শরণার্থীদের উদ্ধার করে আজ-জাভিয়াহারের আরেকটি কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয় বলে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিবৃতিতে জানায় জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
তারা দেশটির সেনা কমান্ডার খলিফা হাফতারের অনুগত সেনাবাহিনী ও জাতিসংঘ সমর্থিত জিএনএ সরকারের অনুগত বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষ থেকে আপাতত নিরাপদে থাকবে।
সংস্থাটি জানায়, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ১২ শরণার্থীর ওপর সশস্ত্র হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সবাইকে সরানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল।
এ নিয়ে গত দুই সপ্তাহে চার দফায় ৮২৫ শরণার্থী ও অভিবাসীকে ত্রিপোলি থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো।
জাতিসংঘ বলছে, এখনও প্রায় তিন হাজার শরণার্থী ও অভিবাসী ত্রিপোলির বন্দিশিবিরগুলোতে আটকা পড়ে আছেন। রাজধানীর আশপাশে সংঘর্ষের কারণে তারা মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছেন।
গত ৪ এপ্রিল থেকে রাজধানী দখল নিয়ে ত্রিপোলির দক্ষিণাঞ্চলে সরকারি বাহিনী ও জেনারেল হাফতারের লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) মধ্যে সহিংসতা শুরু হয়। দু’পক্ষই একে অপরের ওপর বিমান হামলা চালায়। এতে অসংখ্য বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, চলতি মাসেই সংঘর্ষে অন্তত ২৭২ জন মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন এ হাজার ২০০ এর মতো মানুষ।
ইউএনওসিএইচএ জানিয়েছে, সংঘর্ষের কারণে কমপক্ষে ৩৬ হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।
এদিকে, সহিংসতা বন্ধ ও লিবিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে চলমান রাজনৈতিক সংকট দূর করার লক্ষ্যে নিজেদের দুই দিনব্যাপী একটি সম্মেলন বাতিল করে দেয় জাতিসংঘ।
আরও পড়ুন
লিবিয়ায় সংঘাতে ঘরছাড়া ৩ হাজার মানুষ
লিবিয়া সংকট: ত্রিপোলি বিমানবন্দরে হামলা
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
একে/টিএ