গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) অন্তত ৪০ জন সদস্য নিহত হন। এ হামলায় মাসুদ আজহার জড়িত অভিযোগ করে তাকে নিষিদ্ধের দাবি জানায় ভারত।
তবে কৌশলে এ নিষেধাজ্ঞা আটকে দেয় চীন। এর আগেও তিনবার মাসুদকে কালো তালিকাভুক্ত করায় বাধ সেধেছিলো দেশটি।
তবু হাল ছাড়েনি ভারত। তাদের জোর কূটনৈতিক তৎপরতায় সরাসরি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এ প্রস্তাব তুলে ধরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। এতে বেশ চাপে পড়ে বেইজিং। তারা সুপারিশ করে যে, মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধের বিষয়টি জাতিসংঘের ১২৬৭ কমিটিতে (আল-কায়েদা স্যাংশনস কমিটি) সমাধান করা উচিত, যার কার্যবিবরণী জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয় না।
তবে অব্যাহত চাপের মুখে চীন এ অভিযোগ তুলে নিলে স্থানীয় সময় বুধবার (০১ মে) জইশ-ই-মহম্মদ নেতা মাসুদ আজহারকে বিশ্ব সন্ত্রাসী হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করার ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ।
মাসুদ আজহার কালো তালিকাভুক্ত হওয়াকে ভারতের বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মাসুদ আজহারকে বিশ্ব সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এটি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমাদের অনেক বড় জয়।
জঙ্গি সংগঠন আইএস ও আল কায়েদার মতো মাসুদ আজহারকেও কালো তালিকাভুক্ত করাকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
পাকিস্তান বলছে, মাসুদ আজহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দ্রুত কার্যকরে ব্যবস্থা নেবে তারা।
দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, পাকিস্তান বিশ্বাস করে, সন্ত্রাস সারাবিশ্বের জন্যই অভিশাপ। কাশ্মিরীদের ওপর নির্যাতন চালানো ভারতীয় রাজ্য-সমর্থিত সন্ত্রাসীরাও এর মধ্যে পড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩০ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৯
একে