স্থানীয় সময় বুধবার (০১ মে) প্রধানমন্ত্রী তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন।
ডাউনিং স্ট্রিট অফিসের এক মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী গ্যাভিন উইলিয়ামসনকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানো নির্দেশ দিয়েছেন।
গত এপ্রিলে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এনএসসি) আলোচনায় ব্রিটেনে ৫জি সম্প্রসারণে চীনের হুয়াওয়েকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে- সম্প্রতি এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করে দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ। এরপর থেকেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে থেরেসা মের সরকার।
গ্যাভিনের কাছে পাঠানো চিঠিতে থেরেসা মে জানান, তদন্তে তার বিরুদ্ধে গত ২৩ এপ্রিল এনএসসির বৈঠকের তথ্যফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এটি খুবই গুরুতর ও দুঃখজনক ঘটনা। এর কোনো ব্যাখ্যা নেই।
তবে তথ্যফাঁসের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ২০১৭ সাল থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা গ্যাভিন উইলিয়ামসন। তিনি বরখাস্ত হওয়ার এ সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেন। সঠিক তদন্ত হলে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এনএসসির সভায় শুধুমাত্র জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারাই অংশ নেন। সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে, তাদের সবাইকে অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট-এ সই করতে হয়।
দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এনএসসির ওই সভায় ব্রিটেনে ৫জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে হুয়াওয়েকে ‘নন-কোর’ এলিমেন্টস তৈরির অনুমোদন দিয়েছেন থেরেসা মে।
এরপর থেকেই আপত্তি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। তাদের দাবি, চীনের আইন অনুসারে হুয়াওয়ে কোম্পানি দেশটির সরকারের পক্ষে নজরদারি ও প্রয়োজনীয় তথ্যপাচারে বাধ্য। তাই তাদের সঙ্গে যেকোনো চুক্তিই ঝুঁকিপূর্ণ।
যদিও এ চুক্তির বিষয়টি কোনো পক্ষই এখনো স্বীকার করেনি। তবে চীনা সরকারের পক্ষে গোয়েন্দাগিরি ও সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে হুয়াওয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৫ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৯
একে