বৃহস্পতিবার (০৯ মে) দেশটির প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গোগোইয়ের নেতৃত্বে একটি যৌথ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
২০০৫-০৬ সালে যুক্তরাজ্যের একটি প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক নথিতে রাহুল গান্ধী নিজেকে ব্রিটিশ নাগরিক উল্লেখ করেছেন দাবি করে জয় ভগবান গয়াল ও সি পি তিয়াগি নামে দিল্লির দুই বাসিন্দা আদালতে এ পিটিশন দায়ের করেন।
পিটিশনে তারা উল্লেখ করেন, রাহুল স্বেচ্ছায় ব্রিটিশ নাগরিক হয়েও ভারতের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, যা স্পষ্টতই আইনের লঙ্ঘন। তাই সমাজের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা রাহুলের মনোনয়ন বাতিলের আবেদন জানাই।
বৃহস্পতিবার ওই পিটিশনের জবাবে আদালত বলেন, কোনও প্রতিষ্ঠানের একটি কাগজে রাহুলের জাতীয়তা ব্রিটিশ উল্লেখ থাকলেই কি তিনি ব্রিটিশ নাগরিক হয়ে যাবেন? এক টুকরো কাগজের ভিত্তিতে কারও নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না।
এসময় ওই নথিপত্রের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
২০১৫ সালে কংগ্রেস সভাপতির নাগরিকত্ব নিয়ে সর্বপ্রথম প্রশ্ন তোলেন বিজেপির সংসদ সদস্য সুভ্রমনিয়াম স্বামী। তিনি সংসদের নীতিগত কমিটির কাছে ওই ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানের নথিপত্রে রাহুলের বিদেশি নাগরিকত্বের বিষয়টি সামনে আনেন।
এ নিয়ে গত ২৯ এপ্রিল রাহুলকে তার ব্রিটিশ নাগরিকত্বের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশ দেয় ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ক্ষমতাসীন বিজেপির দাবি, এর মধ্যে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। বিজেপি নেতা সম্বিত পাট্রা বলেন, রাজনৈতিক কারণ নয়, জনগণ সত্যটা জানতে চায়।
তবে শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে কংগ্রেস। সংসদীয় কমিটির কাছে দলটি জানায়, রাহুল গান্ধী সবসময়ই ভারতীয় নাগরিক। তিনি কখনোই ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নেননি বা এজন্য আবেদন করেননি।
একই কথা বলেছেন রাহুলের বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। ভাইয়ের ব্রিটিশ নাগরিকত্বের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের ফালতু কথা আমি কখনো শুনিনি। গোটা ভারত জানে রাহুল এদেশের নাগরিক। সে এখানে জন্ম নিয়েছে, বড় হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর কাছে বেকারত্ব, কৃষি সমস্যা, কালো টাকা নিয়ে প্রশ্নের কোনও জবাব নেই। তাই তিনি জনগণের দৃষ্টি অন্য দিকে ফেরাতে মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন।
এর আগে, ২০১৫ সালেও রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব প্রশ্নে একই ধরনের একটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট।
এবারের নির্বাচনে দু’টি আসন থেকে লড়ছেন কংগ্রেস সভাপতি। এরমধ্যে কেরালার ওয়ানড় কেন্দ্রে ভোট হয়ে গেছে, আর আমেথির ভোট এখনও বাকি।
নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হবে আগামী ১৯ মে ও ফলাফল ঘোষণা হবে ২৩ মে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৯
একে