সরকারি সূত্রমতে, গত ডিসেম্বর থেকে উত্তর সিকিমের শীতল মরু অঞ্চলে তুষারপাত শুরু হয়। এতে দুর্দশায় পড়েছে মুংগুথাং ও সো লামু অঞ্চলের ইয়াকগুলো।
ইয়াকগুলোকে বাঁচাতে উত্তর জেলা প্রশাসন আকাশপথে ঘাস, ভুট্টা, আটা, লবণ জাতীয় পশুখাদ্য ছড়ালেও তা কাজে আসেনি। ভারী বরফে ঢাকা পড়ে যায় সব।
এবারের শীতে সিকিমে ১০ ফুট পর্যন্ত তুষারপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, বরফ গলার পরই পশুগুলোর মৃত্যুর বিষয়টি জানা যায়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দলের সঙ্গে উত্তর জেলা প্রশাসন শিগগিরই এসব এলাকা পরিদর্শনে যাবে। তবে, এরমধ্যে ইয়াকগুলোর মরদেহ বন্য কুকুরেরা না খেয়ে ফেললেই হয়, আশা তাদের।
উত্তর সিকিমের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজ যাদব সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ২৫০ ইয়াকের মরদেহ পাওয়া গেছে মুকুথাং অঞ্চলে, বাকি ৫০টি জুমথাংয়ে। পশু বিভাগের একটি মেডিকেল টিম ইতোমধ্যে মুকুথাংয়ে পৌঁছে গেছে।
তিনি বলেন, মেডিকেল টিমের সদস্যরা জীবিত ইয়াকগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় খাবার ও ওষুধ নিয়ে গেছেন। তারা প্রতিটি ইয়াকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখবেন।
রাজ যাদব বলেন, এবারের আবহাওয়া ছিল খুবই দুর্যোগপ্রবণ। ডিসেম্বর থেকে টানা তুষারপাতের কারণে ঘাস জন্মাতে পারেনি। ফলে প্রচণ্ড শীত ও খাবারের অভাবে ভুগে ইয়াকগুলো মারা যায়।
এসব এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
এর আগে, ১৯৯৪-৯৫ সালেও ভারী তুষারপাতের কারণে এ অঞ্চলে অসংখ্য ইয়াক মারা গিয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৯
একে