বিজেপির এই নেতা দাবি করেছেন, তিনি ১৯৮৭-৮৮ সালের দিকে ই-মেইল এবং ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার করেছেন। স্বভাবতই নির্বাচনের মৌসুমে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন ক্ষমতাসীন বিজেপির ‘পোস্টার নেতা’।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নরেন্দ্র মোদী ভারতে ইন্টারনেট সেবা চালুরো আগে তার ই-ইমেইল পাঠানোর ‘কীর্তি’ তুলে ধরার পাশাপাশি বলেন, প্রথমবার আমি ১৯৮৭-৮৮ সালের দিকে ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার করেছি। তখন অল্প সংখ্যক লোকের ই-মেইল ছিল। গুজরাটের বিরমগ্রামে আদভানি জি’র জনসভায় আমার ডিজিটাল একটি ক্যামেরা ছিল। আমি আদভানি জি’র একটি ছবি তুলেছিলাম। পরে ই-মেইলে সেই ছবি আদভানি জি’র কাছে দিল্লিতে পাঠিয়েছিলাম। তিনি অবাক হয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, বর্তমান সময়ে কীভাবে আমার রঙিন ছবি ওঠানো গেলো।
মোদীর এমন ‘উদ্ভট’ দাবি ছড়িয়ে পড়তেই আলোচনার ঝড় ওঠে ফেসবুক-টুইটারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারকারীরা স্বভাবতই প্রশ্ন তোলেন, ১৯৯৫ সালের আগে ভারতে ই-মেইল সুবিধাই ছিল না। তাহলে কী করে নরেন্দ্র মোদী ১৯৮৮ সালে ই-মেইল পাঠালেন?
এছাড়া ১৯৮৬ সালে ডিজিটাল ক্যামেরা আবিষ্কার হলেও তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায় অন্তত ১৪ বছর পর। তাহলে নরেন্দ্র মোদী সেসময় সাধারণ হয়ে কী করে ডিজিটাল ক্যামেরা পেলেন? এমন প্রশ্ন ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন একজন ব্যক্তির মুখ থেকে এমন ‘বাস্তবতা-বিবর্জিত’ দাবি কীভাবে হয়, সে প্রশ্নটিকে হাতিয়ারও বানাচ্ছে বিরোধী শিবির।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৯
টিএ/এইচএ