তবে, ট্রাম্পের এ প্রস্তাবনার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ডেমোক্র্যাটরা। তাদের মতে, এ প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রে শিশু অবস্থায় আনা লাখ লাখ অভিবাসীর (ড্রিমার) নাগরিকত্বের ব্যাপারে কোনো দিকনির্দেশনা নেই।
এদিন, হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে মার্কিন ইমিগ্রেশনকে হিংসা করবে আধুনিক বিশ্ব।
তিনি বলেন, আমরা অভিবাসীদের জন্য এ দেশের দরজা খুলে দিতে চাই। তবে তাদের মেধা ও দক্ষতার ভিত্তিতে আসতে হবে।
ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ভিসা পাওয়া দক্ষ অভিবাসীদের সংখ্যা ১২% থেকে বেড়ে ৫৭%-এ দাঁড়াবে। এ সংখ্যা আরও বাড়ানো যায় কিনা তা বিবেচনা করা হবে বলেও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
হোয়াইট হাউসের এ পরিকল্পনায় খুশি হতে পারেননি অনেক রাজনীতিবিদই। প্রখ্যাত ভাষ্যকার অ্যান কোল্টার এক টুইটে বলেন, এ প্রস্তাবনা শুধু প্রচারণার জন্যই, কোনো বিলের জন্য নয়।
ট্রাম্পের এ প্রস্তাব কার্যকর হতে হলে কংগ্রেসের অনুমোদন পেতে হবে। তবে, এর নিম্নকক্ষের নিয়ন্ত্রণ বর্তমানে ডেমোক্র্যাটদের হাতে। আর তারাই এ প্রস্তাবের কড়া বিরোধিতা করেছে।
ডেমোক্র্যাটিক স্পিকার ন্যানসি পেলোসি বলেন, আজ পর্যন্ত যত লোক যুক্তরাষ্ট্রে এসেছে, শুধু একটা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী নেই বলে কি তারা সবাই মেধাহীন?
কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটিক সদস্য প্রমীলা জয়পাল বলেন, এ প্রস্তাবে ড্রিমারদের সুরক্ষায় কোনো পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি। এছাড়া এ দেশে বসবাসকারী ১১ মিলিয়ন অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্বের বিষয়েও কিছু নেই।
আপাতত এ প্রস্তাব কংগ্রেসে পাস হওয়ার কোনো সম্ভাবনা না থকলেও বিশ্লেষকদের দাবি, ট্রাম্প আসলে আগামী বছর প্রেসিডেন্ট ও কংগেসের নির্বাচনকে ঘিরে রিপাবলিকানদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছেন।
কারণ, ট্রাম্প বলেছেন, যদি কোনোভাবে, বিশেষ করে রাজনৈতিক কারণে মেধাভিত্তিক এ প্রস্তাবনা ডেমোক্র্যাটরা অনুমোদন না দেয়, তবে নির্বাচনের পর হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে, সিনেট ও প্রেসিডেন্টের পদ দখলে রেখে অতিদ্রুত এটি পাস করবো।
মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের প্রতিশ্রতি ছিল ট্রাম্পের নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম প্রধান অংশ। চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তিনি। এছাড়া, সম্প্রতি মেক্সিকো থেকে অসংখ্য মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের আশায় সীমান্তের দিকে আসছেন। এর জবাবে ওই এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনসহ কাউকে সীমান্তের কাছে না ঘেঁষার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তাই, অভিবাসন নীতিতে বরাবরই কড়া মনোভাব দেখানো ট্রাম্পের হঠাৎ এমন পরিবর্তনে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৯
একে