গত ৩ মে ভারতে আঘাত হানে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী। অন্য এলাকায় ঝড়ের তীব্রতা কম হলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয় উড়িষ্যা।
রাজ্যের রঘুদেপুর গ্রামের এ দিনমজুর এখন স্ত্রী আর কিশোরী দুই মেয়েকে নিয়ে থাকছেন ৭ ফুট লম্বা ৬ ফুট চওড়া টয়লেটের ভেতর।
বৃদ্ধ জেনা ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সাইক্লোনে আমার কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হলেও পাকা টয়লেট টিকে গেছে। আমাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। দু’দিন আগে বরাদ্দ পাওয়া টয়লেটই আমাদের শেষ আশ্রয়।
তিনি বলেন, ফণী আমাদের বেঁচে থাকার পথ কঠিন করে দিয়েছে। আমার কাছে ঘর বানানোর টাকা নেই। তাই সরকারি ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছি না।
‘ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিপূরণ না পাওয়া পর্যন্ত এ টয়লেটেই থাকতে হবে আমাদের। এজন্য সবাইকে বাইরেই মলমূত্র ত্যাগ করতে হচ্ছে। ’
নিজেদের এমন দুর্দশার জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন খিরোদ জেনা। তিনি বলেন, আমি সরকারের কাছে পাকা ঘর বানিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছিলাম। কিন্তু সে আবেদন গ্রাহ্য করা হয়নি। সরকার তখন পাকা ঘর বানাতে সাহায্য করলে আজ এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না।
জেলা গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থার প্রকল্প পরিচালক দিলিপ কুমার পারিদা বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীতে ক্ষতিগ্রস্ত একটি পরিবার টয়লেটে থাকার খবর পেয়েছি। ইতোমধ্যে ওই এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৯
একে