গত সোমবার (১৭ জুন) ইরান জানিয়েছে, তারা ২০১৫ সালে হওয়া ছয় জাতি পরমাণু চুক্তি আর মানবে না। খুব শিগগিরই পারমাণবিক মজুত বাড়ানোর কার্যক্রম শুরু করা হবে।
ওই দিনই মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক সানাহান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে সংঘর্ষ চায় না। কিন্তু, ওই অঞ্চলে দেশের স্বার্থে নিয়োজিত সেনা সদস্যদের নিরাপত্তা ও কল্যাণের জন্য এ পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।
তবে, অতিরিক্ত সেনা সদস্যদের কোন এলাকায় মোতাযেন করা হবে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।
এর আগে, গত মে মাসে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে অতিরিক্ত দেড় হাজার সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২০১৫ সালে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের শর্তে ক্ষমতাধর পাঁচটি দেশের সঙ্গে ইউরেনিয়াম মজুদ সীমিতকরণের চুক্তি করেছিল ইরান। পরে, গত বছর এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার পাশাপাশি ইরানের ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (১৭ জুন) ইরানের অ্যাটোমিক এনার্জি অর্গানাইজেশনের এক মুখপাত্র জানান, দেশটি আগামী ১০ দিনের মধ্যে চুক্তিতে নির্ধারিত ইউরেনিয়াম মজুদের সীমা অতিক্রম করতে যাচ্ছে।
তবে, এ সংকট সমাধানের একটি পথও দেখিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। তাদের মতে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে ইরানকে বাঁচাতে ইউরোপীয় দেশগুলোর হাতে এখনো সময় আছে। তারা পদক্ষেপ নিলেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৯
একে