বুধবার (১৯ জুন) ইমরান খান তার অফিশিয়াল টুইটারে লেবানিজ কবি কাহলিল জিবরানের নামে একটি কবিতা পোস্ট করেছেন। এরপর থেকেই নেটিজেনরা এ নিয়ে সমালোচনায় মেতে ওঠেন।
ইমরান টুইটে লেখেন, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম ও স্বপ্ন দেখলাম, জীবন আনন্দময়। জেগে উঠলাম ও দেখলাম যে, জীবনের পুরোটা জুড়ে শুধুই কাজ। কাজ করলাম ও দেখলাম, সেবাই হলো প্রকৃত আনন্দ।
এক পাকিস্তানি সাংবাদিক এ টুইটের উত্তরে লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী, আমার মনে হয়, এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাণী।
আরেক টুইটার ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, আসলেই কি তিনি প্রধানমন্ত্রী না অন্য কিছু? দর্শন সম্পর্কিত টুইট করার আগে এটা কার বাণী তা দেখেনও না।
মনোজ আগারওয়াল নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, সুন্দর বাণী। কিন্তু এটা কাহলিলের নয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাণী।
এ দিকে উক্তিটি কার, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। গুগলে খুঁজলে এ উক্তিটি রবীন্দ্রনাথ ও জিবরান উভয়ের নামেই পাওয়া যাচ্ছে। রবীন্দ্রনাথের নাম বেশিবার দেখা গেলেও, গত বছরের জুনে ওয়াশিংটনে এক সাহিত্য পুরস্কারের আসরে প্রথম বক্তৃতা শুরু হয়েছিল এ উক্তি দিয়ে। সেখানে বলা হয়েছিল, এটি জিবরানের উক্তি।
রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞেরা কেউ কেউ বলছেন, রবীন্দ্রনাথ ও জিবরানের কবিতার কিছু কিছু লাইন মিলে যায়। কথার ধরনও এক। তবে এর মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে, যা বোঝা যায়। ইমরানের করা টুইটের লাইনগুলো রবীন্দ্রনাথের রচনার কোনো সংকলনে পাওয়া যায়নি।
বিষয়টির মীমাংসা না হলেও নেটিজেনদের সমালোচনার হাত থেকে বাঁচতে পারছেন না ইমরান খান।
সাম্প্রতিক সময়ে সমালোচনা যেন পিছুই ছাড়ছে না পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর। সৌদি বাদশাহর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় প্রটোকল ভঙ্গের পর, কিরগিজস্তানের বিসকেকে সাংহাই করপোরেশন আয়োজিত সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের সম্মানে উঠে না দাঁড়ানোয় প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ইমরান খানকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
এইচএডি/একে