সম্প্রতি এয়ার কানাডার একটি ফ্লাইটে ঘটেছে এ ঘটনা। টিফানি অ্যাডামস নামে ভুক্তভোগী ওই যাত্রীর কাহিনি বিমান পরিচালনা প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছিলেন তার এক বন্ধু।
ওই পোস্টে জানানো হয়, প্লেনটি কুইবেক থেকে টরেন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাচ্ছিল। বেশিরভাগ আসন খালি থাকায় পুরো এক সারির ওপর আরাম করে ঘুমিয়ে পড়েন টিফানি।
যখন ঘুম ভাঙে, উঠে দেখেন চারদিকে অমাবস্যার অন্ধকার। যাত্রী-ক্রু কেউ নেই। রানওয়ে থেকে অনেক দূরে প্লেন দাঁড় করানো।
তিনি বলেন, ভেবেছিলাম, কোনো দুঃস্বপ্ন দেখছি, নাহলে এটা কীভাবে হচ্ছে?
দ্রুত এক বন্ধুকে ফোন করার চেষ্টা করেন ওই নারী। কিন্তু তার মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে গিয়েছিল।
টিফানি বলেন, আমি ভয় না পেয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক রাখতে চেয়েছিলাম। আর হাতের কাছে যতগুলো ইউএসবি পোর্ট পেয়েছি, সবগুলো দিয়ে মোবাইল চার্জ দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু প্লেনের বিদ্যুৎসংযোগ বন্ধ করে দেওয়ার তাতে কোনো লাভ হয়নি।
‘অবশেষে ককপিটের কাছে একটা টর্চলাইট খুঁজে পাই। প্লেনের দরজা খুলে দেখি কোনো সিঁড়ি নেই, মাটি থেকে অন্তত ৫০ ফুট ওপরে আছি। ’
পরে, টর্চের আলো জ্বেলে একজন লাগেজ কার্টচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন তিনি। ওই চালক কাছে এসে দেখেন, টিফানি প্লেনের দরজা খুলে পা ঝুলিয়ে বসে আছেন।
ভুক্তভোগী যাত্রী বলেন, সে (চালক) চমকে গেছিল, তারা আমাকে কীভাবে প্লেনে ফেলে গেল! আমারও ওই একই প্রশ্ন?
এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছে এয়ার কানাডা কর্তৃপক্ষ।
তবে, ভুক্তভোগী নারীর আতংক এখনো কাটেনি। জানিয়েছেন, এখনো রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯
একে