দেশটির আবহাওয়া অফিস ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে, যা আগে কখনোই দেখা যায়নি। এছাড়া, পর্যটনপ্রধান দেশটির বেশিরভাগ এলাকাতেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি রয়েছে।
দক্ষিণ ফ্রান্সের গার্দ, ভওক্লুজ, হেরল্ট ও বুঁজ-দু-হোন এলাকায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি থেকে ৪৫ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পানি ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করেছে ফরাসী কর্তৃপক্ষ। শত শত স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
২০০৩ সালে ফ্রান্সে সর্বোচ্চ ৪৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। সেসময় তীব্র গরমে মারা গিয়েছিল কয়েক হাজার মানুষ।
ইউরোপীয় দেশগুলোর ওপর দিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। জার্মানি, ফ্রান্স, পোল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্রে জুন মাসে তাদের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। স্পেনে ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল নিয়ন্ত্রণে লড়ছেন দমকল কর্মীরা।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, উত্তর আফ্রিকা থেকে বয়ে আসা উষ্ণ বাতাস এ তাপদাহের জন্য দায়ী। এর কারণে মধ্য ইউরোপে উচ্চচাপ ও আটলান্টিক মহাসাগরে ঝড় সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৯
একে