গত বুধবার (২৬ জুন) এ তালিকাটি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবসম্পদ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মার্সার।
এ বছর প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে ব্যয়বহুল দশটি শহরের মধ্যে আটটিই রয়েছে এশিয়া মহাদেশে।
একধাপ উপরে উঠে চতুর্থ অবস্থানে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল। আর দুই ধাপ নিচে নেমে পাঁচে দাঁড়িয়েছে সুইজারল্যান্ডের শহর জুরিখ। এশিয়ার বাইরে সেরা দশে থাকা দ্বিতীয় শহর হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক। ২০১৮ সালের ১৩তম থেকে এ বছর নবম স্থানে উঠে এসেছে শহরটি।
ব্যয়বহুল শহরের সংখ্যায় সবচেয়ে এগিয়ে চীনে। গত বছরের চেয়ে একধাপ উপরে উঠে ষষ্ঠ স্থানে আছে দেশটির সাংহাই শহর। আটে আছে বেইজিং (গতবার ৯ম) ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শেনঝেন আছে ১০ম স্থানে (গতবার ১২তম)।
এ তালিকায় সেরা দশে উঠে আসা নামগুলোর মধ্যে সবচেয়ে চমক জাগানিয়া হচ্ছে আশগাবাদ। গত বছর ৪৩তম হলেও, এ বছর এক লাফে সাতে উঠে এসেছে তুর্কমেনিস্তানের শহরটি।
এবারও ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর মুম্বাই। গত বছর তালিকার ৫৫তম স্থানে থাকলেও, এ বছর তা পিছিয়ে ৬৭তম স্থানে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া, নয়া দিল্লি ১১৮তম, চেন্নাই ১৫৪তম, বেঙ্গালুরু ১৭৯তম ও কলকাতা আছে ১৮৯তম অবস্থানে।
তালিকায় সবার নিচে, অর্থাৎ প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল শহরের স্বীকৃতি পেয়েছে তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিস (২০৯)। এর পরেই আছে উজবেকিস্তানের রাজধানী তাশখন্দ (২০৮) ও পাকিস্তানের করাচি (২০৭)।
নিউইয়র্কে বসবাসের খরচকে মানদণ্ড ধরে অন্য শহরের তুলনা করে ব্যয়বহুল শহরের এ তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। এ বছর পাঁচ শতাধিক শহরে জরিপ করা হলেও, তালিকায় রাখা হয়েছে ২০৯টি। জরিপে প্রতিটি শহরের ২০০টি বিষয়ের তুলনা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাসা ভাড়া, যাতায়াত, খাবার, পোশাক, নিত্যপণ্য ও বিনোদনের খরচ। প্রতিটি পণ্যের দাম মার্কিন ডলারের বিপরীতে ওই দেশের মুদ্রার মানের সঙ্গে তুলনা করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৯
একে