বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দেশটির সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে এ বাজেট অনুমোদিত হয়। এটি প্রতিরক্ষাখাতে বিশ্বের শীর্ষ বাজেটগুলোর একটি।
গত ১১ জুন সংসদে রাজস্ব মন্ত্রী হাম্মাদ আজহার বাজেট উত্থাপনকালে জানান, গত বছরের মতোই বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রতিরক্ষাখাতে।
যদিও বিদায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে প্রাথমিক বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ১০ হাজার কোটি রুপি। সংশোধিত বাজেটে এই অংক দাঁড়ায় ১ লাখ ১৩ হাজার ৭০০ কোটি রুপি।
সে হিসাবে বিদায়ী বাজেটের চেয়ে নতুন বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ দেখা যাচ্ছে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।
গত এপ্রিলে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, পরমাণু শক্তিধর পাকিস্তানের প্রতিরক্ষাখাতে গত বছরের ব্যয় বিশ্বে ২০তম ছিল।
পাকিস্তানের অবকাঠামোসহ বিভিন্নখাত পিছিয়ে থাকলেও দেশটি বরাবরই প্রতিরক্ষাখাতে অবিশ্বাস্য বরাদ্দ রেখে আসছে। এই বাজেট অনেক গবেষণা সংস্থার কাছে অপ্রয়োজনীয়ও মনে হয়েছে।
ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর পাকিস্তানের অর্থনৈতিক দুর্দশা কাটিয়ে ওঠার জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ (বেলআউট প্যাকেজ) গ্রহণের চুক্তি করেন। তার সরকারের বাজেটে সমৃদ্ধি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও রাজস্ব আহরণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৯
এইচএ/