সম্প্রতি বিল গেটসের ব্লগে মশা নিয়ে একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটিতে গ্রাফ আকারে বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর হাতে মানুষের প্রাণহানির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
গ্রাফটির তথ্য অনুসারে, প্রতিবছর হাঙ্গরের হাতে প্রাণ যায় ১০ জন মানুষের। এভাবে নেকড়ের হাতে ১০ জন, সিংহের থাবায় ১০০ জন, হাতির হাতে ১০০, জলহস্তির কবলে ৫০০, কুমিরের কবলে ১০০০, ফিতাকৃমির কারণে ২০০০, গোলকৃমির কারণে ২৫০০, স্কিসটোসোমিয়াসিস বা মিঠাপানির এক প্রকার শামুকের কারণে ১০০০০, গুপ্তঘাতক কীটের কারণে ১০০০০, কুকুরের কামড় বা আঁচড়ে ২৫০০০, সাপের ছোবলে ৫০০০০ জন প্রাণ হারান। আর মানুষের হাতেই প্রাণ যায় ৪ লাখ ৭৫ হাজার মানুষের। অন্যদিকে মশার কামড়ে প্রতিবছর প্রাণ যায় ৭ লাখ ২৫ হাজার মানুষের।
বিজ্ঞানীদের মতে, পতঙ্গ মশার প্রায় ৩৫০০ প্রজাতি রয়েছে। এদের প্রধান খাবার গাছের রস হলেও অধিকাংশ প্রজাতির স্ত্রী মশা (এডিস মশা) মানুষের রক্তপান করে ডিম ফোটানোর জন্য।
চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে, ক্ষুদ্র এ প্রাণীটি বহন করে অনেক ক্ষতিকারক জীবাণু। মশার কামড়ে ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়া ছড়ায় বলে ধারণা করা হলেও বিজ্ঞানীদের মতে, এটি আরও অনেক জীবননাশী রোগের কারণ। মশার কারণে চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর বাইরে ফাইলেরিয়াম, পীত জ্বর, জিকা ভাইরাসসহ প্রভৃতি মারাত্মক রোগ সংক্রমিত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে এখন বর্ষা মৌসুম চলছে। স্বভাবতই এই সময়ে মশার উপদ্রব বহুগুণ বেড়ে যাবে। তাই নিজের ও পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মশা প্রতিরোধক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে কালবিলম্ব না করেই।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৯
এনটি/এইচএ/