শুক্রবার (২৮ জুন) জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার ‘ফ্যাটাল জার্নি’ শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ২০১৪ সাল থেকে শুরু করে বিগত পাঁচ বছরে অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর কিংবা যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে গড়ে প্রতিদিন একটি অভিবাসী শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর কিংবা যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে বিপজ্জনক যাত্রায় প্রাণ হারানো ৩২ হাজার মানুষের মধ্যে এক হাজার ৬শ’ জনই শিশু। এদের মধ্যে ছয় মাস বয়সী শিশুও ছিলো। তবে এ শিশুগুলোর মধ্যে সবার মৃত্যু হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ অনেক শিশুকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিগত পাঁচ বছরের প্রতি বছরই ক্রমান্বয়ে এ মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।
এছাড়া শুধু ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়েই প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ১৮ হাজার মানুষ। এদের বেশিরভাগই বিপজ্জনকভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে লিবিয়া ও ইতালির মধ্যবর্তী ভূমধ্যসাগরে প্রাণ হারিয়েছে।
তবে ২০১৭ সাল থেকে ২০১৮ সালে প্রাণহানির সংখ্যা ২৫ শতাংশ কমেছে। কারণ এখন বেশিরভাগ অভিবাসীই মধ্য ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করে থাকেন।
সর্বশেষ ২৪ জুন মেক্সিকোর মাতামোরোসের তামালিপাস রাজ্যের রিও গ্রান্দে নদীর কাছে এল সালভেদরের অভিবাসী স্কার আলবের্তো মারটিনেজ রামিরেজ ও তার ২৩ মাস বয়সী মেয়ে ভ্যালেরিয়ার মৃত্যুর ছবি প্রকাশিত হলে তা নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। মূলত যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে গিয়েই প্রাণ হারায় তারা। এর প্রেক্ষিতেই ‘ফ্যাটাল জার্নি’ শিরোনামে গড় অভিবাসী শিশু মৃত্যুর প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৯
এসএ/