আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, কতগুলো এফ-২২ যুদ্ধবিমান কাতারে পাঠানো হয়েছে তা নিশ্চিত করেনি মার্কিন প্রশাসন। তবে, প্রকাশিত ছবিতে ওই ঘাঁটিতে অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান দেখা গেছে।
মার্কিন বিমান বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কাতারে প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়েছে নিজস্ব বাহিনীর সুরক্ষা ও ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের দায়িত্ব পালনের স্বার্থে।
অস্ট্রেলিয়ান বিমানবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক পিটার লেইটন বলেন, এফ-২২ স্টিলথ যুদ্ধবিমানগুলোর মূল মিশন হতে পারে, ইরানের প্রধান আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সার্ফেস-টু-এয়ার মিসাইল ব্যাটারি, বিশেষ করে এস-৩০০ সিস্টেমের ওপর হামলা চালানো।
তিনি বলেন, এস-৩০০ ব্যাটারিগুলোই হবে হামলার প্রথম লক্ষ্যবস্তু। এর মাধ্যমে বাকি আক্রমণের জন্য আকাশপথ উন্মুক্ত হয়ে যাবে।
ইউএস প্যাসিফিক কমান্ডস জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্ট সেন্টারের সাবেক ডিরেক্টর অব অপারেশন কার্ল সুস্টার বলেন, এফ-২২’র উপস্থিতি পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করার ক্ষেত্রে ইরানের জন্য বড় প্রতিবন্ধক। তবে, এর মানে, যুক্তরাষ্ট্র কিছু একটা থামাতে চাচ্ছে, শুরু করতে নয়।
গত সপ্তাহে হরমুজ প্রণালিতে ইরান একটি মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোন ভূপাতিত করার কয়েকদিন পরই মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিমানগুলো পাঠানো হলো। তেহরানের দাবি, ড্রোনটি ইরানের আকাশসীমায় চলে এসেছিল। আর ওয়াশিংটনের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক জলসীমার ওপর থাকতেই সেটাকে ভূপাতিত করা হয়।
প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলারের ড্রোনটি ভূপাতিত করার ঘটনা ইরান-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্ব বৃদ্ধির সর্বশেষ কারণ। চলতি মাসে হরমুজ প্রণালিতে দু’টি তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণের ঘটনায় ইরানকে দায়ী করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। গত মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত উপকূলে আরও চারটি বাণিজ্যিক জাহাজে বিস্ফোরণের জন্যেও তেহরানের দিকেই আঙুল তুলেছে তারা।
এসবের প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে প্রায় দুই হাজার সেনা সদস্য, একটি বিমানবাহী জাহাজ ও বি-৫২ বোম্বার পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার, এর সঙ্গে যুক্ত হলো সর্বাধুনিক প্রযুক্তির স্টিলথ যুদ্ধবিমান এফ-২২।
ইরানের কাছেই পারস্য উপসাগরীয় দেশ কাতারে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সেনাঘাঁটি। সেখানে প্রায় ১১ হাজার সেনা সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৯
একে