সম্প্রতি দেশটির ১৫ হাজার ৬শ’ ৬৬টি থানার সঙ্গে প্রতিযোগীতায় সেরা নির্বাচিত হয়েছে রাজস্থানের এ থানাটি। কী এমন আছে সেখানে, যার জন্য এত সুনাম?
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, কালু পুলিশ স্টেশন দেশের আর দশটা থানার চেয়ে অনেকটাই আলাদা।
থানায় কেউ কোনো অভিযোগ নিয়ে গেলে প্রথমেই তাকে চা-কফি, নাশতা, পানি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। একটু দূর থেকে গেলে ভারী খাবারের ব্যবস্থাও আছে সেখানে।
নারীরা যেন যৌন হয়রানি বিষয়ে নির্দ্বিধায় অভিযোগ জানাতে পারেন, এ জন্য আছে আলাদা হেল্পডেস্ক।
শুধু এসবই নয়, থানা প্রাঙ্গণে একটা ব্যাডমিন্টন কোর্টও আছে। সেখানকার ওয়েটিং রুম তৈরি হয়েছে কাঠ দিয়ে, দেখলে মনে হবে, কুঁড়েঘরে বসে আছি।
কালু পুলিশ স্টেশনের এসএইচও দেবি লাল বলেন, এখানকার পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব সম্পর্কে সবসময় সচেতন। সিসি ক্যামেরা দিয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে সারাক্ষণ নজর রাখা হয়।
তিনি বলেন, আমরা থানাকে সম্পূর্ণ ডিজিটাল ব্যবস্থার আওতায় এনেছি। ক্যামেরায় সন্দেহজনক কোনো গাড়ি দেখলে, মোবাইলেই ‘রাজ কপ’ অ্যাপের মাধ্যমে গাড়িটির বিস্তারিত খবর জোগাড় করি। অ্যাপটিতে এ ধরনের অনেক সুবিধা আছে। এর মাধ্যমে ই-এফআইআর ও চার্জশিট আপডেট করা যায়।
থানার কর্মকর্তারা জানান, এলাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তাদের মূল হাতিয়ার কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৯
একে