রোববার (৩০ জুন) বাবা-মেয়ের প্রাণহীন দেহ দু’টি মেক্সিকো থেকে গুয়েতেমালা দিয়ে এল সালভাদরের লা হাচাদুরা শহরে পৌঁছায়। সেখানে মরদেহ গ্রহণ করেন সালভাদোরান মন্ত্রী মারিও দুরান।
একটু ভালোভাবে বেঁচে থাকার আশায় স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঘর ছেড়েছিলেন অস্কার। আদরের কন্যাকে পিঠে নিয়ে সাঁতরে যুক্তরাষ্ট্র যেতে চেয়েছিলেন তিনি। । কিন্তু, স্বপ্নপূরণ হয়নি। খরস্রোতা রিও গ্রান্দে নদীতেই প্রাণ গেছে বাবা-মেয়ের। কোনোমতে বেঁচে গেছেন স্ত্রী তানিয়া। এমনই দুর্ভাগ্য, স্বামী-সন্তান নদীর পানিতে ভেসে যাওয়ার দৃশ্য তাকিয়ে তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না তার।
গত ২৩ জুন টেক্সাসের কাছে ব্রাউনসভিল শহরের কাছে ঘটে এ মর্মান্তিক ঘটনা। বাবা-মেয়ের মরদেহের করুণ দৃশ্য ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বব্যাপী শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। অনেকেই এ ঘটনার জন্য সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর বিধি-নিষেধকে দায়ী করেছেন।
এ ঘটনায় গোটা দেশ শোকাচ্ছন্ন বলে জানিয়েছেন এল সালভাদরের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মিগুয়েল মন্টেনেগ্রো। তার আশঙ্কা, মানুষ এখনো দারিদ্র্য-দুর্দশা থেকে বাঁচার আশায় দেশ ছাড়তে আগ্রহী। যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে এ ধারা চলতেই থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০১৯
একে