আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সম্প্রতি শিকার করা দু’টি মিনকে তিমির মাংসের পিস বিক্রি হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার ইয়েনে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ হাজার ৭শ’ টাকা)।
গত ৩০ জুন তিমি রক্ষাকারী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল হোয়েলিং কমিশন (আইডব্লিউসি) থেকে বের হয়ে যায় জাপান।
এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রবল সমালোচনার মধ্যেও, এ বছর ২২৭টি তিমি শিকারের ঘোষণা দিয়েছে এশিয়ার দেশটি।
১৯৮৬ সালে তিমির বেশ কয়েকটি প্রজাতিকে বিপন্ন ঘোষণা করে শিকার নিষিদ্ধে সম্মত হয় আইডব্লিউসিভুক্ত দেশগুলো।
কিন্তু, বৈজ্ঞানিক গবেষণার নাম করে গত বছর ৩৩৩টি তিমি শিকার করে জাপান। তবে, সেগুলো মূলত বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে পরিবেশন করা হয়েছে বলে দাবি সমালোচকদের। কারণ, দেশটিতে তিমির মাংস অত্যন্ত জনপ্রিয় ও এটি তাদের সংস্কৃতির একটি অংশ।
জাপানে তিমির মাংসের জন্য সুপরিচিত এক রেস্টুরেন্টের শেফ মিৎসু তানি বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেন, এতে (তিমির মাংস) গরুর মাংসের চেয়ে পাঁচ গুণ কম ক্যালোরি, ১০ গুণ কম কোলেস্টেরল, মুরগির মাংসের চেয়ে দুই গুণ কম চর্বি আছে। এছাড়া, এটি আয়রনেও পরিপূর্ণ, যা বাইরের দেশের লোকেরা জানে না।
জাপান স্মলি-টাইপ হোয়েলিং অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ইয়োশিফুমি কাইয়ের কাছে গত সোমবারের (১ জুলাই) তিমি শিকার অভিযান ছিল ‘অসাধারণ’ ঘটনা।
তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আমরা যা করছি, তার জন্য মোটেও লজ্জিত নই। এটা প্রাকৃতিক বিষয়।
তার দাবি, জাপান যে পরিমাণ তিমি শিকারের পরিকল্পনা করেছে, তাতে এ প্রাণিটির অস্তিত্বে কোনো প্রভাব পড়বে না।
তবে, হিউমেন সোসাইটি ইন্টারন্যাশনালের নিকোলা বেনন বলেন, বিশ্বব্যাপী তিমি রক্ষার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত দুঃখজনক দিন। তিমি দস্যুদের নতুন ও জঘন্য যুগের সূচনা করায় জাপানকে দায়ী করেছেন তিনি।
এনভায়রনমেন্টাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি জানায়, ২০১৫ সালে তাদের পরীক্ষা করা সব তিমি ও ডলফিনের মাংসেই ক্ষতিকর মাত্রায় পারদ পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৯
একে