শনিবার (৬ জুলাই) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাটির প্রথম চালান চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন তুরস্কে পৌঁছাবে।
এদিকে, এস-৪০০’র চালান তুরস্কে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে বলে হুমকি দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রথম চালান দু’টি কার্গো উড়োজাহাজে করে তুরস্কে নেওয়া হবে। এগুলো রুশ সেনাবাহিনীর একটি বিমানঘাঁটি থেকে রোববার (৭ জুলাই) লোড করা হবে। একই সঙ্গে, এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বিষয়ক রুশ বিশেষজ্ঞরা সোমবার (৮ জুলাই) তুরস্কে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যে বাগযুদ্ধ চলছে বহুদিন ধরে। রাশিয়ার কাছ থেকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনলে তুরস্ককে অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে, এ হুমকিতে সিদ্ধান্ত বদলায়নি তুরস্ক। তারা জানায়, চুক্তি হয়ে যাওয়া এ থেকে আর পেছনে ফেরার উপায় নেই। এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা তুরস্কের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত জরুরি।
এর আগে, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। চুক্তি অনুসারে বড় অংকের টাকা যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়েছিল তুরস্ক। ইতোমধ্যে দেশটির কাছে কয়েকটি যুদ্ধবিমান হস্তান্তর করা হলেও, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনা নিয়ে দু’দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৯
এইচএডি/