ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

অমতে বিয়ে করায় বাবা গুণ্ডা পাঠিয়েছে, অভিযোগ এমপির মেয়ের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
অমতে বিয়ে করায় বাবা গুণ্ডা পাঠিয়েছে, অভিযোগ এমপির মেয়ের সাক্ষী মিত্র ও অজিতেশ কুমার। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: পরিবারের অমতে ভিন্ন বর্ণের ছেলেকে বিয়ে করায় তাদের মারতে গুণ্ডা পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভারতের এক সংসদ সদস্যের মেয়ে। প্রাণের ভয়ে এখনো পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে জানিয়ে পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন তিনি।


সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের সংসদ সদস্য রাজেশ মিশ্রের মেয়ে সাক্ষী মিশ্র (২৩) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিওবার্তায় এ অভিযোগ করেন। ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সে ভিডিও।

এতে দেখা যায়, বারেলির ওই সংসদ সদস্যের মেয়ে বাবা ও ভাইয়ের ডাকনাম ব্যবহার করে বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য পাপ্পু ভার্তোয়াল ও ভিকি ভার্তোয়াল, এবার ক্ষান্ত দাও, আর শান্তিতে থাকো। কারণ, আমি সত্যিই বিয়ে করে ফেলেছি। এ সিঁদুর আমি ফ্যাশনের জন্য লাগিয়ে রাখিনি, বিয়ে করেছি বলেই লাগিয়েছি।  

‘আর বাবা, রাজীব রানার মতো যে গুণ্ডা লাগিয়ে রেখেছেন আমার পিছে… আমি ক্লান্ত হয়ে গেছি.. পালিয়ে থাকতে থাকতে আমরা ক্লান্ত। আমাদের জীবন ঝুঁকিতে আছে। ’

বার্তসংস্থা পিটিআই জানায়, গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) পালিয়ে বিয়ে করেন সাক্ষী মিত্র ও অজিতেশ কুমার।  

ভিডিওতে বাবার উদ্দেশে এমপিকন্যা বলেন, অভি (অজিতেশ কুমার) আর ওর আত্মীয়দের হয়রানি বন্ধ করো। কারণ, তাদের কোনো দোষ নেই, যা করার আমি ও অভি করেছি। এবার শান্তিতে থাকো, আর রাজনীতি করো। আমি খুশি থাকতে চাই, স্বাধীন থাকতে চাই। ’ 

‘এ ভিডিওর মাধ্যমে বলতে চাই, ভবিষ্যতে যদি আমি, অভি বা তার পরিবারের কারও কিছু হয়, এর জন্য আমার বাবা ভিকি ভার্তোয়াল ও রাজীব রানা দায়ী থাকবে। যারা তাদের সাহায্য করছেন, দয়া করে তা বন্ধ করুন। কারণ, আমাদের জীবন সঙ্কটাপন্ন। ’

আরেকটি ভিডিওতে সাক্ষী মিশ্র পুলিশের কাছে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার দাবি জানান।

তবে, মেয়ের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে একে রাজনৈতিক চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ সদস্য রাজেশ মিশ্র। তিনি বলেন, আমার মেয়ে সবসময় স্বাধীন। সে নিজেই তার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমি কাউকে হত্যার হুমকি দেইনি। আমার পরিবারের সদস্য বা যারা আমার সঙ্গে কাজ করেন, তারা কেউই কাউকে হত্যার হুমকি দেয়নি। আমরা নিজেদের কাজ নিয়েই ব্যস্ত।

এ বিষয়ে পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক আর কে পান্ডে পিটআই’কে বলেন, আমরা ভিডিওবার্তাটি দেখেছি। ওই দম্পতিকে নিরাপত্তা দিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

তবে, সাক্ষী ও অজিতেশ কোথায় আছেন, তা জানেন না বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।