রোববার (১৪ জুলাই) যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি মেইলের বরাতে বিবিসি জানায়, ২০১৮ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন এক স্মারকলিপিতে যুক্তরাষ্ট্রকে পারমাণবিক চুক্তি থেকে বের না হতে আহ্বান জানিয়েছিলেন।
ওই চুক্তি মোতাবেক, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের শর্তে পারমাণবিক মজুদ সীমিতকরণে রাজি হয়েছিল ইরান।
রাষ্ট্রদূত স্যার কিম ডারোচ তার নথিতে জানান, বরিস জনসন যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুক্তরাজ্যে ফেরার পর জানিয়েছিলেন, ইরানের সঙ্গে হওয়া পারমাণবিক চুক্তি থেকে বের হয়ে আসার ঘোষণা দিতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর কারণ, চুক্তিটি তার পূর্বসূরি বারাক ওবামার সময়ে হয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্বেই এ চুক্তি বাতিল হতে যাচ্ছে।
এ সিদ্ধান্ত নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টাদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া, চুক্তি বাতিলের জন্য হোয়াইট হাউজের সুনির্দিষ্ট কোনো কর্ম-পরিকল্পনা নেই বলেও জানান ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত। পাশাপাশি, ট্রাম্প্র প্রশাসনের এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে ‘কূটনৈতিক ধ্বংসযজ্ঞ’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সম্প্রতি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ গোপন নথি ফাঁস করার বিষয়ে গণমাধ্যমগুলোকে সতর্ক করেছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। পাশাপাশি, কোনো সাংবাদিক এ বিষয়ে আর কোনো তথ্য প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ব্রিটিশ পুলিশ।
এদিকে, তথ্য ফাঁসের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে ‘ভেরি স্টুপিড’ আখ্যায়িত করে তার সঙ্গে আর কোনো ধরনের আলোচনা করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
তবে, তথ্য ফাঁসের পর পরই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার কিম ডারোচ। জানিয়েছেন, তার পক্ষে আর এ দায়িত্ব পালন সম্ভব হচ্ছে না।
এসব ঘটনার তদন্ত শুরু করছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯
একে