ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নতুন ‘স্বাধীনতায়’ খুশি সৌদি নারীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০১৯
নতুন ‘স্বাধীনতায়’ খুশি সৌদি নারীরা প্রতীকী ছবি

ঢাকা: সৌদি আরবে নারী স্বাধীনতা বৃদ্ধির নতুন আদেশে উচ্ছ্বসিত দেশটির নারীরা। শুক্রবার (২ আগস্ট) পাস হওয়া এক ফরমান অনুসারে, এখন থেকে ২১ বছর হলেই পরিবারের পুরুষ সদস্যের অনুমতি ছাড়া পাসপোর্টের জন্য আবেদন ও একা একা বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন সৌদি আরবের নারীরা। চাকরির ক্ষেত্রেও নারীরা পুরুষের সমান অধিকার পাবেন। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই বেশ খুশি সৌদি নারীরা। 

লায়লা আলমিনা নামে দুবাই প্রবাসী এক নারী মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসকে জানান, সৌদি বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজ ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের এমন উদ্যোগে মোটেই অবাক হননি তিনি।  

লায়লা বলেন, তারা সৌদি নারীদের মর্যাদা সত্যিই অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন।

এত অল্প সময়ে তারা যে ঐতিহাসিক পরিবর্তন এনেছেন, তা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের। কয়েক বছর ধরে যে পরিবর্তন দেখছি, তা থেকেই জানতাম, এটি (নারী স্বাধীনতা) নিয়েও কাজ চলছে। এ অগ্রগতি স্বাভাবিক।

তার মতে, এ সিদ্ধান্তের ফলে সেসব সৌদি নারী, যারা পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া কিছু করতে পারেননি, তারা নতুন ভাবে স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারবেন।

** নারী স্বাধীনতায় আরও একধাপ এগোলো সৌদি

সৌদি সরকারের এ সিদ্ধান্তে খুশি ২৫ বছর বয়সী সারা ইদ্রিসও। দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে মুখিয়ে আছেন তিনি।

সারা বলেন, পুরুষ সঙ্গী ছাড়া পাসপোর্ট আবেদন ও একা ভ্রমণের অনুমতি দেওয়ার এ আদেশ সত্যিই দারুণ খবর। এ পরিবর্তন নারীর ক্ষমতার পরিপূর্ণ ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করে দেবে।  

তিনি বলেন, আমি ছোটবেলায় সৌদি আরব ছিলাম। মনে আছে, তখন সেখানে বিশেষ ধরনের পোশাক, এমনকি বাইকে একা একা হাঁটার ক্ষেত্রেও কঠোর নিয়ম ছিল। সেখানে কোনো স্বাধীনতা ছিল না। কিন্তু, দুবাই চলে আসার পর থেকেই দেখছি, একটু একটু করে আইন শিথিল হচ্ছে। যতবারই দেখি, গতবারের চেয়ে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে।

এতদিন সৌদি নারীরা পাসপোর্ট নিতে গেলে তার জন্য বাবা, স্বামী বা পরিবারের অন্য পুরুষ সদস্যের অনুমতি নিতে হতো। যে নারীর নিজস্ব পাসপোর্ট নেই, তাকে পুরুষ অভিভাবকের পাসপোর্টের একটি পাতা দেওয়া হতো। এতে সৌদি নারীদের একা একা ভ্রমণ একপ্রকার অসম্ভব ছিল।

শুক্রবারের (২ আগস্ট) আদেশ অনুযায়ী, সৌদি নারীরা একা একা পাসপোর্ট ও বিদেশ ভ্রমণ ছাড়াও, এখন থেকে বিয়ে বা বিবাহবিচ্ছেদ, সন্তানের জন্ম রেজিস্টার করতে পারবেন। পাশাপাশি, নারীরাও সন্তানের আইনগত অভিভাবক হতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৯
একে/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।