শুক্রবার (০৬ সেপ্টেম্বর) এমন তথ্যই জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ভারতের কেরালা রাজ্যের বাসিন্দা ব্লেসি টম তার স্বামী জোসেফ আব্রাহাম ও দুই সন্তানকে নিয়ে আরব আমিরাতে থাকতেন।
স্তনে সংক্রমণ (ব্রেস্ট ইনফেকশন) রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১৫ সালের নভেম্বরে তিনি সেখানকার ডা. সানি মেডিক্যাল সেন্টার নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান।
সেই সময় ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. দর্শন প্রভাত রাজারাম পি নারায়নারা (ভারতীয় নাগরিক) তাকে কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেয়। এতে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই নারী।
অবস্থা গুরুতর হলে পরবর্তীতে তাকে শারজা শহরের আল কাসিমী নামে আরেকটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। যার কয়েক ঘণ্টা পরই তার মৃত্যু হয়। আল কাসিমী হাসপাতালের দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেটে লিখা হয়, ইনজেকশন দেওয়ার ফলেই এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় হার্ট অ্যাটাকে ব্লেসির মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার পরপরই ডা. সানি মেডিক্যাল সেন্টারের চিকিৎসক ডা. নারায়নারা আরব আমিরাত ত্যাগ করে নিজ দেশ ভারতে পালিয়ে যান।
এরপর এ নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে ব্লেসির পরিবার। ক্ষতিপূরণ বাবদ তারা দাবি করে প্রায় এক কোটি ৯৫ লাখ রুপি।
পরবর্তীতে চলতি বছরের ১৭ জুন শারজা কোর্ট ওই চিকিৎসককে দোষী সাব্যস্ত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং চিকিৎসককে ক্ষতিপূরণ বাবদ ব্লেসির পরিবারকে ৩৯ লাখ রুপি এবং আইনি ব্যয় বাবদ আরও ৩৯ লাখ রুপি দেওয়ার নির্দেশ দেন।
নির্দেশনায় বলা হয়, ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়া ৩৯ লাখ রুপি ব্লেসির স্বামী ও দুই সন্তানের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।
যেহেতু ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত চিকিৎসক নিজ দেশ ভারতে পালিয়ে গেছেন এবং এরপর আর আরব আমিরাতে ফেরেননি, সেহেতু ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল এবং ইন্টারপোলের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ ও আইনি সহায়তার ওই অর্থ আদায়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে রায়ে বলা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৯
এসএ/