বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে একটি পোস্টে এমন দাবি করেন প্রিন্স আব্দুল্লাহ বিন সুলতান বিন নাসের আল-সৌদ। পোস্টে বক্তব্যের সমর্থনে একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারের বরাতও দেন তিনি।
২০১৬ সালে সৌদি চ্যানেল-২৪ টেলিভিশনে ওই সাক্ষাৎকারটি প্রচার করা হয়। এতে সৌদি আরবের ‘এফ-১৫’ ও ইরানের ‘এফ-৪’ ফ্যান্টম যুদ্ধবিমানের মধ্যে তুলনা করে বলা হয়, রিয়াদ অস্ত্র ও বিমানের দিক থেকে তেহরানের চেয়ে অনেক উন্নত। তেহরানের সামরিক সরঞ্জাম আগের আমলের।
সাক্ষাৎকারের বরাত দিয়ে প্রিন্স লেখেন, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ নৌবাহিনী, স্থল ও বিমানবাহিনীর জন্য উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র কেনারও দুই বছর আগের এক খণ্ডচিত্র এটি।
‘আর যা গোপন আছে, তা তো বিশাল। দুনিয়ায় এমন কোনো শক্তি নেই, যা চলার পথে আমাদের একতা ও উত্থানের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে। আল্লাহকে ধন্যবাদ। ’
মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে ‘সাপে-নেউলে সম্পর্ক’। সাম্প্রতিক সময়ে হরমুজ প্রণালী ঘিরেও পরস্পরবিরোধী অবস্থানে এ দুই দেশ। এর বাইরে ২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেনে চলমান গৃহযুদ্ধকেও ইরান-সৌদির ছায়াযুদ্ধ হিসেবে অভিহিত করা হয়। ইরান সেখানে হুথি বিদ্রোহীদের ও সৌদি ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সমর্থনে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। যদিও ইরান হুথিদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগসাজশের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৯
এইচজে/টিএ