গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত জানান। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
পম্পেও তার বিবৃতিতে বলেন, (প্রেসিডেন্ট পদে না থাকলেও) ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম সচিব হিসেবে রাউল কাস্ত্রোই হাজারো কিউবানকে নির্বিচারে বন্দি রাখার প্রক্রিয়া এবং এখনো শতাধিক রাজনীতিককে আটকে রাখার বিষয়টি দেখভাল করছেন।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে প্রয়াত নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর ৮৮ বছর বয়সী ভাই ও তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন না।
যদিও সাবেক প্রেসিডেন্ট রাউলের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের কোনো পরিকল্পনা আছে বলে মনে হয় না। তবে এই নিষেধাজ্ঞা তার পরিবারের সদস্যদেরও যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেবে না।
এই আদেশ কার্যকর হবে তার কন্যা সমকাম অধিকারকর্মী ও এইচআইভি/এইডস সচেতনতা বিষয়ক প্রচারক ম্যারিয়েলা কাস্ত্রো এসপিনের ওপরও। তিনি ২০১২ সালে নিউইয়র্ক ও স্যান ফ্রান্সিসকো ভ্রমণ করেন। সেসময় কাস্ত্রো পরিবারের মার্কিন সমালোচকরা এর তুমুল নিন্দা করে।
কিউবা-ভেনেজুয়েলার মতো লাতিন আমেরিকার যেসব দেশে সমাজবাদী শাসকগোষ্ঠী রয়েছে, তারা সবসময় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের পুঁজিবাদী-আগ্রাসনবাদী বলে সমালোচনা করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের শাসকগোষ্ঠীও এসব দেশের ওপর বিভিন্ন সময় নিষেধাজ্ঞার খগড় নামিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি লাতিন আমেরিকা থেকে সমাজবাদ উপড়ে ফেলার ঘোষণা দেন। তার এই ঘোষণায় সমাজবাদীরা ক্ষুব্ধ হলেও ফ্লোরিডায় নির্বাসিত অনেক ভেনেজুয়েলান ও কিউবান স্বাগত জানায় ট্রাম্পের বক্তব্যকে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
এইচএ/