ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

শিশুদের সংশোধনে পেটানো নিষেধ করতে যাচ্ছে স্কটল্যান্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৯
শিশুদের সংশোধনে পেটানো নিষেধ করতে যাচ্ছে স্কটল্যান্ড প্রতীকী ছবি

যুক্তরাজ্যের অর্ন্তভুক্ত স্কটল্যান্ডে বাবা-মায়ের জন্য শিশু পেটানো অর্থাৎ শিশুদের যে কোনো প্রকার শারীরিক নির্যাতনকে নিষেধ করে একটি আইন পাস হতে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) স্কটিশ পার্লামেন্টে শিশুদের ওপর সব প্রকার শারীরিক নির্যাতন নিষেধ করে প্রস্তুত করা এ আইনটি ভোটের জন্য উত্থাপনের কথা জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

বর্তমানে স্কটল্যান্ডে শিশুদের সংশোধনের প্রয়োজনে বাবা-মা ও অভিভাবকেরা হালকা শারীরিক শাস্তি দিতে পারেন।

তবে প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই শিশুদেরকে যে কোনো প্রকার আক্রমণ থেকে প্রতিরক্ষা দেওয়ার জন্য এ আইনটি তৈরি করতে যাচ্ছে স্কটল্যান্ড।

স্কটিশ গ্রিনস পার্টি থেকে নির্বাচিত স্কটিশ পার্লামেন্টের সদস্য জন ফিনি এ আইনটির প্রস্তাবনা দেন। পার্লামেন্টের কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা ছাড়া অন্য সব সদস্য একে সমর্থন করেন।

আইনটি পাস হলে শিশুদের প্রতি যে কোনো প্রকার শারীরিক শাস্তির জন্য বাবা-মাকে বিচারের আওতায় আনা যাবে।

আইনটির বিরোধীরা বলছেন, এর মাধ্যমে আদর্শ অনেক বাবা-মাই অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হবেন।

তারা বলছেন, বর্তমানে প্রচলিত আইনটির মাধ্যমে বাবা-মাকে শিশুদের সংশোধনের জন্য শুধু হাতে ও শরীরের নিচ অংশে হালকা চাপড় দেওয়ার অনুমতি আছে।

কিন্তু অপ্রয়োজনীয় এ পরিবর্তনে গুরুতর নির্যাতনের শিকার শিশুদের কোনো উপকার হবে না বরং আদর্শ পরিবারগুলোতে শিশুদের সংশোধনে বাধার সৃষ্টি করবে বলে মনে করেন তারা।

১৯৭৯ সালে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সুইডেন শিশুদের ওপর যে কোনো শারীরিক নির্যাতনকে নিষেধ করে আইন জারি করে। আইনটি পাস হলে স্কটল্যান্ড এ ধরনের আইন পাসকারী দেশের মধ্যে ৫৮তম দেশ হিসেবে স্থান দখল করবে।

বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে আঘাতের ফলে শিশুদের শরীরে আঘাতের দাগ পড়লে বা কেটে গেলে আঘাতকারীর বিরুদ্ধে মামলার সুযোগ রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের অধীন উত্তর আয়ারল্যান্ডেও একইরূপ আইন থাকলেও ২০১৫ সাল থেকে পাশের দেশ আয়ারল্যান্ডে শিশুদের ওপর সব শারীরিক নির্যাতনকে নিষেধ করে আইন পাস করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
এবি/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।