ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মুম্বাইয়ের ‘সবুজ ফুসফুস’ রক্ষায় আদালতের হস্তক্ষেপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৯
মুম্বাইয়ের ‘সবুজ ফুসফুস’ রক্ষায় আদালতের হস্তক্ষেপ

মেট্রোরেল স্থাপনা নির্মাণকে কেন্দ্র করে ভারতের মুম্বাইয়ে সবুজ ফুসফুসখ্যাত অ্যারে অঞ্চলের গাছ কাটায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। 

সোমবার (৭ অক্টোবর) এক শুনানি শেষে আদালতের বিশেষ বেঞ্চ এ নির্দেশ দেয়। এতে বলা হয়, আগামী ২১ অক্টোবর পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত অ্যারে অঞ্চলের আর একটি গাছও কাটা যাবে না।

 

খবরে বলা হয়, অ্যারে অঞ্চলের মিঠি নদীর ধারে বিশাল বনভূমি জুড়ে রয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ গাছপালা। ১২৮০ হেক্টর আয়তনের এ এলাকা বাণিজ্যনগরী মুম্বাইয়ের সবুজ ফুসফুস। সম্প্রতি এখানে মেট্রো রেলের কারশেড তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় মহারাষ্ট্র সরকার। সেই সূত্রে এখানকার ২ হাজার ৬৪৬টি গাছ কাটার অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থী ও সমাজকর্মীরা।  

রাস্তায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভের পাশাপাশি অনেকেই আইনি লড়াইয়েও নেমে পড়েন। গাছ কাটা বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে অ্যারে কলোনিকে ‘সংরক্ষিত বনাঞ্চল’ ঘোষণার দাবিও জানায় কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কিন্তু গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) তাঁদের আবেদন খারিজ করে দেয় মুম্বাই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রদীপ নন্দরাজোগের ডিভিশন বেঞ্চ।

পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন আন্দোলনকারীরা। সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতিকে আন্দোলনরত আইনের শিক্ষার্থী ঋষভ রঞ্জন এক চিঠিতে জানান, ইতোমধ্যেই অ্যারে কলোনির প্রায় দেড় হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। সব ধরনের আইনি পদ্ধতি অনুসারে এগোলে মামলা শুরুর আগেই বাকি গাছ কাটা হয়ে যাবে। এ পরিস্থিতিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি জানান ঋষভ। পরে ওই চিঠির ভিত্তিতেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সোমবার সে মামলার প্রাথমিক শুনানির পর ২১ অক্টোবর পর্যন্ত গাছ কাটায় স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ।

এদিকে যে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এদিন নতুন করে অ্যারে কলোনিতে ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ।  

গাছ কাটার পক্ষে যুক্তি দিয়ে মুম্বাই মেট্রো রেল করপোরেশন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অশ্বিনী ভিড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করেছেন, গাছ কাটার ক্ষতিপূরণ হিসেবে এরই মাঝে অ্যারে এলাকায় ২৪ হাজার গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। এ গাছ কাটাকে ‘অপরিহার্য ধ্বংস’ ও গাছ রোপণকে ‘নতুন সৃষ্টি’ বলে অভিহিত করেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৯
এসকে/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।