ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

দুর্ব্যবহারের মুখে নিউইয়র্ক ছেড়ে ফ্লোরিডা যাচ্ছেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৯
দুর্ব্যবহারের মুখে নিউইয়র্ক ছেড়ে ফ্লোরিডা যাচ্ছেন ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটনের দীর্ঘদিনের অধিবাসী দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি তিনি তার স্থায়ী আবাস বদলে চলে যাচ্ছেন ফ্লোরিডার পাম বিচে। 

শুক্রবার (০১ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকেই পাম বিচ কাউন্টি ক্লার্কের সঙ্গে কাগজপত্রের সব কাজ শেষ করেছেন ট্রাম্প।

তারপর ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, আমি এখন থেকে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অধিবাসী।

একই ধরনের নথি জমা দিয়েছেন ট্রাম্পের স্ত্রী ও দেশটির ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও। প্রক্রিয়াটিকে বলা হয়, ‘ডিক্লারেশন অব ডমিসাইল’। যা আন্তর্জাতিক আইনে স্থায়ী বাসস্থান অনুমোদন ব্যবস্থা। স্থায়ী আবাস পরিবর্তনের সময় এমন নথি জমা দিতে হয়।

পাম বিচে অবস্থিত ট্রাম্পের ‘মার-অ্যা-ল্যাগো’ রিসোর্টই এখন প্রেসিডেন্টের নতুন বাসভবন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রায় একশ’ দিন সেখানে কাটিয়েছেন ট্রাম্প। একে তিনি ডাকেন ‘উইন্টার হোয়াইট হাউস’ নামে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্থায়ী আবাস বদলের বিষয়টি বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) নিউইয়র্ক টাইমসে প্রথম প্রকাশিত হয়।

এসময় ট্রাম্প জানান, সিদ্ধান্তটি নিতে কষ্ট হলেও এটি সবদিক থেকেই ভালো।

বৃহস্পতিবার টুইটে ট্রাম্প বলেন, নিউইয়র্ক ও তার অধিবাসীদের প্রতি অন্যরকম টান আছে আমার। এটি সবসময় থাকবে। এই রাজ্যে প্রতিবছর কয়েক মিলিয়ন ডলার কর দিই আমি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এ অঙ্গরাজ্যের ও শহরের রাজনৈতিক নেতারা সবসময় আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে এসেছেন। কেউ কেউ খুবই খারাপ আচরণ করেছেন।

এদিকে, ঠিকানা বদলের খবরে নিউইয়র্কের ডেমোক্র্যাট নেতারা বেশ খুশি হয়েছেন।

নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু মার্ক ক্যুমো মাইক্রোব্লগিংয়ে বলেন, হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। এমন তো না যে ডোনাল্ড ট্রাম্প এখানে কোনো কর দিতেন। ফ্লোরিডা, ট্রাম্প এখন শুধুই তোমার।

নিউইয়র্ক সিটি কউন্সিল স্পিকার কোরে জনসন টুইটে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিদায় দিয়ে বলেন, ‘অবশেষে স্বস্তি পেলাম। ’

নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে বরাবরই কম জনপ্রিয় ট্রাম্প। কেননা, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এ রাজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন।

ফ্লোরিডায় স্টেট ইনকাম ট্যাক্স বা এসটেট ট্যাক্স দিতে হয় না বলে অনেক অর্থ বেঁচে যাবে ট্রাম্পের। কিন্তু ট্যাক্স ডকুমেন্ট দেখাতে রাজি না হওয়ায় জানা যায়নি ঠিক কতো টাকা বাঁচবে তার।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৯
এফএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।