শুক্রবার (৮ নভেম্বর) এমন তথ্যই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ইয়র্কশায়ারের কয়েকটি এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
গত কয়েকদিনের বর্ষণে জলাবদ্ধতা দেখা দেয় কাউন্টির নিম্নাঞ্চলগুলোতে। ওই সময় পর্যন্ত কোনো সতর্কতা দেখায়নি আবহাওয়া অফিস। তবে বুধবার (৬ নভেম্বর) ডন নদীর পানি উপচে মুহূর্তেই প্লাবিত হয় গোটা এলাকা। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার সুপারশপ ও রেস্টুরেন্টেই রাত কাটাতে হয়েছে কয়েকশ মানুষকে। এদিকে, ডন নদীর তীরবর্তী এলাকায় শতাধিক কটেজ পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও।
রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে সড়ক যোগাযোগও। ব্যক্তিগত গাড়ি রাস্তায় না নামানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি আতঙ্কিত না হওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কাউন্টির সঙ্গে অন্য শহরগুলোর যোগাযোগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অবিরাম বর্ষণে তাপমাত্রাও অনেক নেমে গেছে। ফলে ঠান্ডায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের।
এদিকে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছেন কয়েকশ উদ্ধারকর্মী। বৃষ্টি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে ইয়র্কশায়ারের আবহাওয়া দপ্তর।
অন্যদিকে, পানির উচ্চতা বাড়ছে ডার্বিশায়ার, ম্যানচেস্টার ও লিঙ্কনশায়ার কাউন্টিতেও। তাই যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেখানকার স্থানীয়দেরও।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
কেএসডি/