ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

দেশে না ফিরে জেল খাটতেও রাজি পাকিস্তানিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৯
দেশে না ফিরে জেল খাটতেও রাজি পাকিস্তানিরা প্রতীকী ছবি

বিদেশে বন্দি বেশিরভাগ পাকিস্তানি অভিবাসী দেশে ফিরতে চান না। বরং বিদেশেই যেকোনো ধরনের কাজ, এমনকি জেল খাটতেও রাজি তারা।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশটির সংসদীয় কমিটিকে এ তথ্য জানিয়েছে।

পাকিস্তানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সৈয়দ জাহিদ রাজা কমিটির ব্রিফিংয়ে বলেন, এদের বেশিরভাগই আশ্রয়প্রার্থী।

তারা স্বেচ্ছাপ্রত্যাবাসনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে, এমনকি পাকিস্তানি মিশনের কাছ থেকেও কোনো ধরনের সাহায্য নিতে রাজি নয়।  

পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ কর্মকর্তা মূলত বসনিয়া-হার্জেগোভিনার ভুকজাগ ক্যাম্পে বন্দি চার হাজার পাকিস্তানি অভিবাসনপ্রত্যাশীর বিষয়ে কথা বলছিলেন। দেশটির পাকিস্তানি মিশন থেকে প্রায় চারশ’ কিলোমিটার দূরে এই ক্যাম্পের অবস্থান।  

জাহিদ রাজা বলেন, বসনিয়া সরকার স্বচ্ছল নয়। বন্দিদের দেখাশোনায় পর্যাপ্ত রসদও নেই তাদের। তবে, সেখানে বন্দি পাকিস্তানিদের সঠিক সংখ্যা এখনো নিশ্চিত নয়।  

‘তাদের বেশিরভাগই ইউরোপের মূল ভূখণ্ডে যাওয়ার সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে। এদের অল্প কয়েকজনই স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে রাজি। ’ 

এদিন সংসদীয় কমিটিকে জানানো হয়, তুরস্ক থেকে আনুমানিক ৫০ হাজার পাকিস্তানি অভিবাসী প্রত্যাবাসনের অপেক্ষায় ছিল। এদের মধ্যে ২০ হাজারের মতো সম্ভবত দেশে ফিরেছে, বাকি ৩০ হাজার এখনো সেখানে আটকা রয়েছে।    

কমিটির চেয়ারম্যান হিলালুর রেহমান জানান, বিদেশে বহু পাকিস্তানি আটকা পড়ে রয়েছে। দেশে ফিরতে তাদের সাহায্য প্রয়োজন। অনেক লাইসেন্সধারী ট্রাভেল এজেন্সি মানবপাচার, বিদেশিদের কাছে কর্মীদের বিক্রির মতো ঘটনায় জড়িত। এসব এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সিকে (এফআইএ) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

হিলালুর রেহমান বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশে আটকে পড়াদের সাহায্য করতে চায়, বিশেষ করে বসনিয়ায় দণ্ডপ্রাপ্তদের।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।