ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এমন তথ্যই জানিয়েছে।
কলকাতা আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার পর ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়বে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে তীব্র বাতাস ও বজ্রবৃষ্টির কবলে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ। গাছ উপড়ে একজন নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে সড়কে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। বৃষ্টিতে বহু সড়ক তলিয়ে গেছে পানির নিচে। এছাড়া উড়িষ্যায় একজন নিহতের খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
এদিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের সবশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, শনিবার (০৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২৫ কিমি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৩০ কিমি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১০ কিমি. দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫৫ কিমি. দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার মধ্যরাত নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল (সুন্দরবনের কাছ দিয়ে) অতিক্রম করতে পারে।
উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে প্রায় ১২ কিমি/ঘণ্টা বেগে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের জন্য মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে নয় নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো নয় নম্বর মহবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
জেডএস