শনিবার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টায় ১১০-১২০ কিলোমিটার বেগে বুলবুল বয়ে যায় সুন্দরবনের ধানচি অঞ্চল দিয়ে।
পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে।
বুলবুলের তাণ্ডবে দুই পরগনা, দুই মেদিনীপুর ও হাওড়ায় বেশ কিছু জায়গায় অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন এলাকার নদীর বাঁধ। কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে।
বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা ও পাকা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারী বর্ষণে বারাসাতের ডাকবাংলো মোড় থেকে যশোর রোড ধরে চাঁপাডালির দিকের সড়কের পিচ উঠে গেছে, ইট-মাটি ভেঙে গেছে।
এছাড়া, উপকূলীয় এলাকায় ক্ষেতের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রোববার (১০ নভেম্বর) দিঘা, মন্দারমণি, তালসারি, শঙ্করপুর, বকখালি ও সাগরদ্বীপে পর্যটকদের সাগরে নামা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকা থেকে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৮০ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় থেমে যাওয়ার পরও কারও প্রয়োজন হলে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে পারেন।
রোববার চব্বিশ পরগনা, মেদিনীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ জানতে ব্যবহার করা হবে ‘দুর্দান্ত’ নামে একটি ড্রোন।
এদিকে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গে একজন করে প্রাণ হারিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
এফএম/একে