গরম পদার্থ মিশ্রণ প্লান্ট, পাথর ভাঙার মেশিনগুলো আগামী ১৫ নভেম্বর সকাল পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যা রাজধানীর আঞ্চলিক এলাকার জন্যও প্রযোজ্য হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে দূষণ-প্রতিরোধী সংস্থা।
এছাড়া কয়লা এবং জ্বালানি নির্ভর অন্যান্য শিল্প কারখানা, যারা এখনও প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করছে না; ফরিদাবাদ, গুরুগ্রাম, নয়দা, গ্রেটার নয়দা, সোনিপাত, পানিপাত, বাহাদুরঘর, বাইদি এলাকার জন্যও এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে এ সংক্রান্ত সংবাদে বিবৃতির বিষয়ে উল্লেখ করা হয়, বায়ু দূষণের এমন অবস্থায় শিশুদের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত স্কুলগুলো বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হলো। নয়দা, গুরগ্রাম এবং গাজিয়াবাদও এ পরামর্শ মেনে চলবে।
গত মাসে দিওয়ালি উৎসবের পরপরই ভারতের রাজধানী দিল্লির বায়ু দূষণ চরম পর্যায়ে পৌঁছে। এ অবস্থায় দূষণ কমাতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। সে সময়ও সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুল-কলেজ। এক পর্যায়ে দূষণ কিছুটা কমে দিল্লির বাতাসের উন্নতি হলে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এরইমধ্যে আবার আগের সিদ্ধান্তে ফিরে যেতে হলো কর্তৃপক্ষকে।
এদিকে দিল্লির বায়ু দূষণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে আগামী ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে তার প্রতিবেদন দিতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ০৫২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
জেডএস