ঢাকা, সোমবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

মুম্বাই হামলার ১১ বছর, কী করেছে পুলিশ?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
মুম্বাই হামলার ১১ বছর, কী করেছে পুলিশ?

ভয়াল ২৬ নভেম্বর। ২০০৮ সালের এই দিনে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ের পাঁচ তারকা হোটেল তাজসহ ১২টি জায়গায় লস্কর-ই-তৈয়্যেবার পরিকল্পিত হামলায় প্রাণ হারিয়েছিল দেড় শতাধিক নিরীহ মানুষ। এদিন পাকিস্তানি জঙ্গি আজমল কাসাভ সদলবলে ঝাঁপিয়ে পড়েন হোটেল তাজ ও মুম্বাইয়ের জনগণের ওপর। তিনদিন ধরে তাদের নির্বিচার গুলি ও বোমাবাজিতে প্রাণ হারান ১৫৬ জন নিরীহ মানুষ। সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানে নিহত হয় ১০ হামলাকারীও। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ৬০০ জন।

চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ২৬ নভেম্বর শুরু হওয়া তাণ্ডব শেষ হয় ২৯ নভেম্বর। আটক হন একমাত্র জীবিত হামলাকারী কাসাভ।

তাকে গণহত্যা, নির্যাতনসহ ৮৪টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে ২০১০ সালের ৬ মে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২০১২ সালের ২১ নভেম্বর পুনের ইয়ারদা কারাগারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় এ পাকিস্তানি জঙ্গির।

হামলার পর পেরিয়ে গেছে ১১টি বছর। ভয়াবহ সেই ঘটনার ক্ষত, সেই রক্ত, সেই শোক আজও মোছেনি ভারতীয়দের মন থেকে, সন্ত্রাসবিরোধী শান্তিপ্রিয় মানুষের মন থেকে। প্রতিবছর এ দিনটিতে গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় হতাহতদের স্মরণ করে বিশ্ববাসী। সবারই এক কথা, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ পদদলিত করে এগিয়ে যাক মানবতা।

প্রতি বছর ২৬ নভেম্বর হোটেল তাজ ও মুম্বাইয়ের অন্য জায়গাগুলোতে হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চোখের জলে নিকটজনদের স্মরণ করেন নিহতদের স্বজনরা।  

হামলার সময়ের চিত্রএর মধ্যেই প্রশ্ন ওঠে, আবারও এ ধরনের হামলা মোকাবিলায় মুম্বাই এখন প্রস্তুত তো?

এক্ষেত্রে আশার বাণী শুনিয়েছেন শহরের পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় বারভে। তার মতে, মুম্বাইয়ে এমন হামলার সুযোগ আর নেই। আগের চেয়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। মুম্বাই পুলিশ এখন দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনী। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে মোতায়েন রয়েছে কমান্ডোসহ উচ্চ প্রশিক্ষিত নিরাপত্তা সদস্যরা। তাদের রয়েছে সর্বাধুনিক অস্ত্র, গোলা-বারুদ, গাড়ি।  

এছাড়া শহরজুড়ে বসানো হয়েছে পাঁচ হাজারেরও বেশি সিসি ক্যামেরা। পুলিশ যেকোনো ঘটনাবলির বিষয়ে সার্বক্ষণিক নজর রাখছে। প্রয়োজনবোধে আকাশপথে পর্যবেক্ষণের জন্য রয়েছে পুলিশের ড্রোন টিম।

সবচেয়ে বড় কথা, মুম্বাইয়ের মানুষ এখন অনেক সচেতন। যেকোনো বিষয়ে তাৎক্ষণিক খবর পেতে তারাই হযে উঠেছে পুলিশের চোখ-কান। সন্দেহজনক কিছু দেখলে সঙ্গে সঙ্গেই খবর চলে যাচ্ছে পুলিশের কাছে। ফলে, আগের মতো এত সহজেই মুম্বাইয়ে ঢুকে সন্ত্রাসীরা আর হামলা চালাতে পারবে না বলে আশা করেন পুলিশ কমিশনার।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।