তার মুখপাত্র এ বিষয়ে মুখ না খুললেও শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম জানায়, আগামী রোববার (১ ডিসেম্বর) নির্ধারিত মাস্কটের একটি অনুষ্ঠান বাতিল করেছে তার দল লেবার পার্টি। সেখানে দলীয় নেতা ও প্রধানমন্ত্রী মাস্কটের বক্তব্য রাখার কথা ছিল।
অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনের জন্য নন্দিত সাংবাদিক কারুয়ানা গালিজিয়া ২০১৭ সালের ১৬ অক্টোবর পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গাড়ি বোমা হামলায় নিহত হন। সাংবাদিকরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে এলেও সরকার মামলার তদন্তকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এর মধ্যে এই হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত সপ্তাহে আটক করা হয় প্রধানমন্ত্রী মাস্কটের ‘ডান হাত’খ্যাত চিফ অব স্টাফ কেইথ স্কেমব্রিকে। কিন্তু স্কেমব্রি কোনো ধরনের অপরাধে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন। পরে পুলিশ জানায়, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আর আটকে রাখার প্রয়োজন নেই।
এরপর সাংবাদিক গালিজিয়া পরিবারের চোখে সন্দেহভাজন স্কেমব্রিকে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। তখন থেকেই ওই পরিবার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে আসছে। তাদের সঙ্গে সোচ্চার হয়েছে দেশের জনগণ।
গালিজিয়া পরিবার বলছে, হত্যা মামলায় প্রধানমন্ত্রীর তিন সহযোগীর সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়েছে বিধায় এ মামলা দেখভালের দায়িত্বে তিনি থাকতে পারেন না, তার পদত্যাগ করতে হবে।
‘এলিট’দের প্রধানমন্ত্রী খ্যাত মাস্কট এর আগেও অবশ্য পদত্যাগ দাবির মুখে পড়েছিলেন। তখন তিনি সে দাবি নাকচ করে বলেছিলেন, আমি আমার দায়িত্ব ছেড়ে যেতে পারি না। মাল্টার অটল নেতৃত্ব প্রয়োজন এবং আমি দেশের স্বার্থে নীতি-নির্ধারণী ভূমিকা পালন করে যাবো, তবে (অপরাধী) কাউকে রক্ষাও করবো না আমি।
গালিজিয়াকে হত্যার দায়ে বিচার চলছে তিন জনের। তবে এই তিন জনকে ভাড়া করার পেছনে কে জড়িত ছিল, সেটা এই দু’বছরেও বের করতে পারেনি সরকার। সেজন্যই গালিজিয়ার পরিবার দাবি করছে, সরকারই হত্যা মামলাটি ধামাচাপা দিতে চাইছে।
পরিস্থিতি নাজুক বুঝে মাস্কটের মন্ত্রিসভার দুই সদস্য অর্থাৎ দুই মন্ত্রী চলতি সপ্তাহেই সরে দাঁড়িয়েছেন। পরিস্থিতি ‘এলিট’ শাসকদের জন্য অশনিসংকেত বলে জানাচ্ছে সেখানকারই সংবাদমাধ্যম। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের চিন্তার খবরও ছড়িয়ে গেলো।
বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
এইচএ/