শুনানিতে তিনি বলেন, মিয়ানমারের আইনজীবী গণহত্যার উদ্দেশ্য প্রমাণের জন্য সাতটি নির্দেশকের কথা বলেছেন। যা গাম্বিয়ার আবেদনেও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এ শুনানি শুরু হয়।
শুনানিতে গাম্বিয়ার পক্ষে আইনজীবী পল রাইখলার বলেন, আদালত নিশ্চয়ই একটি বিষয় লক্ষ্য করেছেন, মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি আদালতে রোহিঙ্গা বিশেষণটি ব্যবহার করেননি। তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কথা বলতে গিয়ে তাদের মুসলিম হিসেবে তুলে ধরেছেন। মিয়ানমারের আইনজীবী গণহত্যার উদ্দেশ্য প্রমাণের জন্য সাতটি নির্দেশকের কথা বলেছেন। যা গাম্বিয়ার আবেদনেও রয়েছে। এগুলো মিয়ানমার অস্বীকার করেনি।
আরও পড়ুন>> আইসিজেতে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার শেষ দিনের শুনানি শুরু
গাম্বিয়ার পক্ষে শুনানিতে দেশটির আইনমন্ত্রী আববু বকর তামবাদু বলেন, মিয়ানমার আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র না হতে পারে কিন্তু গণহত্যা সনদে সই করা দেশ গাম্বিয়া। গণহত্যা বন্ধে এবং প্রতিরোধে আমাদের দায়িত্ব আছে। দেশটিতে হুমকিতে রয়েছে রোহিঙ্গাদের জীবন।
তিনি শুনানিতে বক্তব্য শেষ করেন ছয়টি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থার নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে। পরের অধিবেশনে মিয়ানমারের পক্ষে জবাব ও যুক্তি তুলে ধরা হবে।
এদিন ‘ইন্টারন্যাশন্যাল কোর্ট অব জাস্টিস’ (আইসিজে)-এ যুক্তি-তর্ক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে শুনানির প্রথম দিন বাদী পক্ষের বক্তব্য শোনা হয়। শুনানির দ্বিতীয় দিন মিয়ানমারের পক্ষে জবাব দেন দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
এইচএডি/