ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মোদী সরকারকে ‘কাপুরুষ’ বললেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
মোদী সরকারকে ‘কাপুরুষ’ বললেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় সংসদে পাস হওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে দিল্লিতে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মোদী সরকারকে ‘কাপুরুষ’ বললেন ভারতীয় রাজনীতিক ও সর্ব ভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।

খবরে বলা হয়, সংশোধিত নাকরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভের জেরে রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে দক্ষিণ দিল্লির জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া (জেএমআই) বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।

শুধু দিল্লি নয়, ভারত জুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এ প্রসঙ্গে এক টুইটে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পেটাচ্ছে পুলিশ। এ মুহূর্তে সরকারের উচিত জনতার কথা শোনা। সেটা না করে বিজেপি সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর প্রদেশ ও দিল্লিতে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের নির্যাতন-নিপীড়ন করছে। এ সরকার কাপুরুষ।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে হুঁশিয়ারি জানিয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, তরুণদের কণ্ঠ রোধ করা যাবে না। এ সরকার জনগণের কথা ভয় পায়। স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে তারা তরুণ প্রজন্মের কণ্ঠ রোধ করতে চায়।  

রোববার বিকেলে জামিয়া বিশ্ববিদালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ঘটনাস্থল যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়। শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে প্রায় একশ’ শিক্ষার্থীকে আটক করে তারা। সহিংসতায় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্যও আহত হন।  

এরপর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে উত্তর প্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (এএমইউ) পর্যন্ত। জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু করলে সেখানে পুলিশ বাধা দেয়। এতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।

পরবর্তীকালে গোটা শহরে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি ভারতীয় সংসদে পাস হয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। নতুন পাস হওয়া আইনে ১৯৫৫ সালের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পারসিসহ অমুসলিম অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ আইনটিকে ‘বৈষম্যমূলক’ ও ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
এফএম 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।