চীনে যখন এ রোগে প্রাণহানির ঘটনা বেড়ে যাচ্ছিলো তখন নিজেদের সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে কভিড-১৯কে ঠেকানোর কথা বলে আসছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু যখনই রোগটির বিস্তার শুরু হলো যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের দম্ভ চুরমার হয়ে গেলো বালির প্রাচীরের মতো।
রোববার (২২ মার্চ) এসব তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।
দেশটিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৭১৭ জন। অপরদিকে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা মাত্র ১৭৮। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
দেশটিতে সবচেয়ে বেশি ১৫০ মৃত্যু হয়েছে নিউইয়র্ক সিটিতে। এরপর ওয়াশিংটনে ৯৫, ক্যালিফোর্নিয়ায় ৩৫, জর্জিয়ায় ২৩, নিউজার্সিতে ২০, লুইজিয়ানায় ২০, ইলিয়ন্সে ৯, মিশিগানে ৯, ফ্লোরিডায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সব অঙ্গরাজ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। অধিকাংশ অঙ্গরাজ্যে কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রাণ গেছে অনেকের।
আরও পড়ুন>> আমেরিকার ৫০ অঙ্গরাজ্যই করোনার দখলে, বাড়ছে মৃত্যু
২০১৯ সালের শেষদিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ১৯২ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে গেছে কভিড-১৯। প্রথমদিকে চীনে মৃত্যু বেশি হলেও এখন দেশটিকে ছাড়িয়ে গেছে ইতালি। ইতালিতে মোট প্রাণ গেছে ৫ হাজার ৪৭৬ জনের অপরদিকে চীনে ৩ হাজার ২৭০। এরপর ইরানে প্রাণ গেছে ১ হাজার ৬৮৫ জনের। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ইউরোপকে কভিড-১৯ এর কেন্দ্রস্থল ঘোষণার পর থেকেই মহাদেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। স্পেনে ১ হাজার ৭৭২, ফ্রান্সে ৬৭৪, যুক্তরাজ্যে ২৮১, নেদারল্যান্ডসে ১৭৯, সুইজারল্যান্ডে ৯৮, জার্মানিতে ৯৪ জনসহ ইউরোপের প্রায় প্রত্যেকটি দেশে প্রাণহানির ঘটনা বাড়ছে। সবমিলিয়ে বিশ্বজুড়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৬৫৫ জনের। মোট আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ৩৮ হাজার। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে প্রায় ৯৯ হাজার মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২০
এইচএডি/