শুক্রবার (৮ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
করোনা ভাইরাসের কারণে অতিজরুরি নয় এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।
মার্চ মাসে বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছিল ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। এপ্রিল মাসে সেটি দুই অঙ্কের সংখ্যায় পৌঁছেছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে বেকারত্বের হার বেড়ে ২২ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
মহামারির কারণে মন্দায় পড়েছে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির এ দেশটি। এ মন্দার হাত থেকে অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
মধ্য মার্চে জারি করা লকডাউনের কারণে ব্যবসায় বিনিয়োগ, বাণিজ্য, উৎপাদন ও ভোক্তাব্যয় কমেছে। এ অর্থনৈতিক সমস্যা আসন্ন নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফের নির্বাচিত হওয়ার পরিকল্পনায় সংকট তৈরি করেছে। প্রাথমিকভাবে মহামারি মোকাবিলায় যথাযথ উদ্যোগ না নিতে পারায় সমালোচিত হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এরইমধ্যে অর্থনীতি ফের সচলের জন্য অধীর হয়ে উঠেছেন ট্রাম্প।
প্রায় সব খাতই চাকরি হারাচ্ছে। খুব দ্রুত বাড়ছে বেকারত্ব। এপ্রিল পর্যন্ত ২ কোটি ৬৫ লাখ মানুষ বেকারভাতার জন্য আবেদন করেছেন।
ঠিকাদার ও অস্থায়ী শ্রমিকদের সুবিধায় বেকারভাতার জন্য আবেদনের যোগ্যতা শিথিল করা হয়েছে। রোজ অসংখ্য আবেদন জমা পড়ছে স্থানীয় কর্মসংস্থান দপ্তরে। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যে সংখ্যা বলা হয়েছে, তার চেয়েও আরও অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ বেকারভাতার জন্য আবেদন করেছেন। এতে শ্রমবাজারেও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২০
এফএম