ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

করোনা: চীনে ফের লকডাউনে ৪ লাখ মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৪ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২০
করোনা: চীনে ফের লকডাউনে ৪ লাখ মানুষ

নতুন করে করোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় রাজধানী বেইজিংয়ের পার্শ্ববর্তী হেবেই প্রদেশের আনেইসিন কাউন্টিতে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে চীন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সম্প্রতি এখানে স্বল্প পরিসরে করোনার সংক্রমণ মেলায় এ লকডাউন দেওয়া হলো। 

খবরে বলা হয়, স্বল্প মাত্রার সংক্রমণ হলেও, যাতে করে ভাইরাস পুনরায় বিস্তৃত পরিসরে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তা নিয়ন্ত্রণে চীন সরকার বর্তমানে অনেক বেশি তৎপর। এর মধ্য দিয়ে আনেইসিনের ৪ লাখ মানুষ লকডাউনের আওতায় এলো।

  

সোমবার (২৯ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। গত বছরের শেষে চীনের হুবেই ও অন্যান্য প্রদেশে করোনা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলেও শুরু থেকেই দক্ষতার সঙ্গে তা নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল হেবেই প্রদেশ। কিন্তু সম্প্রতি নতুন করে হেবেইর আনেইসিন কাউন্টিতে করোনার সংক্রমণ দেখা দিয়েছে।  

রোববার (২৮ জুন) আনেইসিন কর্তৃপক্ষ জানায়, সপ্তাহ দুয়েক আগে দ্বিতীয় ধাপে করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত এ কাউন্টিতে ১৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না, ফলে এ অঞ্চলকে কঠোর লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে।  

ঘোষণায় বলা হয়, আনেইসিনে পূর্ণ মাত্রার লকডাউন ঘোষণা করা হলো। কেবল মাত্র দরকারি কাজে নিয়োজিত কর্মীরাই বাসাবাড়ি থেকে বেরোতে পারবে। অন্যরা সবাই ঘরেই অবস্থান করবে। কোনো পরিবার থেকে কেবল মাত্র একজন দিনে একবার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বাইরে যেতে পারবে।  

আনেসিইনের অধিবাসী নয় এমন কেউ এ অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারবে না। যে কেউ এ নিয়ম লঙ্ঘন করলে পুলিশ তাকে শাস্তির আওতায় আনবে বলে ঘোষণায় জানানো হয়।  

আনেইসিন চীনের অন্যান্য শহরকেন্দ্রিক অঞ্চলগুলোর মতো ঘনবসতিপূর্ণ নয়, ফলে ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে তেমন একটা বেগ পেতে হবে না বলে আশাবাদ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।  

এদিকে হেবেই ছাড়াও সম্প্রতি চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে করোনার সম্ভাব্য দ্বিতীয় ধাক্কা শুরু হয়েছে বলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।  

শেষ ২৪ ঘণ্টায় এখানে নতুন করে ১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মধ্য জুন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এখানে মোট ৩১১ জনের করোনা শনাক্ত হলো। জুনের মাঝামাঝি একটি খাবারের বাজার থেকে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।  

সাম্প্রতিক এই সংক্রমণ শুরু হওয়ার আগের ৫৭ দিনে বেইজিংয়ে নতুন করে স্থানীয় কারো শরীরে করোনা শনাক্তের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু এখন আবারও স্থানীয়দের শরীরে করোনা শনাক্ত হচ্ছে। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তবে চীন সাফল্যের সঙ্গে এবারের সংক্রমণও নিয়ন্ত্রণে নিতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২১১ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২০
এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।