ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

‘বৈরুত কাঁদছে, আর্তনাদ করছে—লোকজন হিস্টিরিয়াগ্রস্ত’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২০
‘বৈরুত কাঁদছে, আর্তনাদ করছে—লোকজন হিস্টিরিয়াগ্রস্ত’ সংগৃহীত ছবি

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে সরকারের অবহেলাকেই দায়ী করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈরুতবাসী। বৈরুত বন্দর কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি, অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার জন্যই শক্তিশালী এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে দাবি করেছেন তারা।

মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় বৈরুত বন্দরে মারাত্মক এক বিস্ফোরণে অন্তত ১৩৭ জন নিহত এবং পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হন। আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

শক্তিশালী এই বিস্ফোরণে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে আশ্রয়হীন হয়েছেন। তাদের ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে।

বিস্ফোরণের পর লেবাননে দুই সপ্তাহের জরুরি অবস্থা জারি করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন। বৈরুত বন্দরের একটি গুদামে অনিরাপদভাবে মজুত রাখা ২৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানান তিনি।

এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি করে চলচ্চিত্র নির্মাতা জিউদ চেহাব বিবিসিকে বলেন, ‘বৈরুত কাঁদছে, আর্তনাদ করছে—লোকজন ক্লান্ত ও  হিস্টিরিয়াগ্রস্ত হয়ে পড়েছে’।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চাদিয়া এলমেউচি নুন নামে বৈরুতের এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমি সবসময়ই জানি আমরা অক্ষম ও অদক্ষ সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়েছি... তবে এবার তারা যা করেছে এটা ঘৃণ্য অপরাধ। ’

বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তের জন্য লেবানন সরকার বৈরুত বন্দরের কয়েকজন কর্মকর্তাকে বুধবার গৃহবন্দি করেছে। দোষী ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তির মুখোমুখি করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম ডিফেন্স কাউন্সিল।

অন্যদিকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বিস্ফোরণের বিষয়ে স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। ঘটনার তদন্তে লেবাননের বিচার বিভাগের নির্ভরযোগ্যতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে বলে এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

জানা গেছে, ২০১৩ সালে বাজেয়াপ্ত একটি জাহাজ থেকে এসব অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট আটক করে বৈরুত বন্দরের একটি গুদামে রাখা হয়, যা সেখানেই ছয় বছর ছিল।

বৈরুত বন্দরের প্রধান স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, বন্দরের নিরাপত্তার জন্য এসব রাসায়নিক পদার্থ রপ্তানি বা বিক্রি করে দিতে তারা বিচার বিভাগকে কয়েকবার লিখিত আবেদন করেছিলেন।

বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার হাসান করায়তেম দাবি করেন, আদালত থেকে যখন রাসায়নিক পদার্থটি গুদামে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়, তখন তারা জানতেন সেটি বিপজ্জনক ছিল। কিন্তু এতটা বিপজ্জনক তা তাদের জানা ছিল না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২০
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।