ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

উইগুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের শারীরিক শ্রমে বাধ্য করছে চীন?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
উইগুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের শারীরিক শ্রমে বাধ্য করছে চীন?

চীন তার পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াংয়ের বিশাল তুলার ক্ষেতগুলিতে এক লাখেরও বেশি উইগুর এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের কঠোর শারীরিক শ্রমের জন্য বাধ্য করছে। অনলাইনে নতুন কিছু নথি ফাঁস হয়েছে।

এতে দেখা যাচ্ছে, এ সব শ্রমিকদের উৎপাদিত তুলা বিশ্বের তুলা সরবরাহের পাঁচ ভাগের এক ভাগ এবং ফ্যাশন শিল্পে বিশ্বব্যাপী এ তুলা ব্যবহৃত হয়। নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।  

চীনের বন্দি শিবিরের ১০ লাখেরও বেশি আটককৃতদের এ কাজে লাগানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোকে টেক্সটাইল কারখানায় কাজের জন্য জোর করার অভিযোগ ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। তবে চীন সরকার এ সব দাবি অস্বীকার করেছে। তাদের ভাষ্য মতে, শিবিরগুলি "বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ স্কুল" এবং কারখানাগুলি স্বেচ্ছাসেবী, "দারিদ্র্য বিমোচন" প্রকল্পের অংশ। তবে নতুন পাওয়া প্রমাণ থেকে জানা যায়, প্রতিবছর প্রায় ৫ লাখ সংখ্যালঘু শ্রমিকদের মৌসুমী তুলা সংগ্রহে বাধ্য করা হচ্ছে। এ ছাড়া পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রতিবছর জোর করে কাজ করানোর প্রবণতা বাড়ছে।

এ নথিগুলি উন্মোচন করেছেন ওয়াশিংটনের ভিকটিম্স অফ কম্যুনিজম মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ফেলো ড. অ্যাড্রিয়ান জেনজ। তিনি বলেন, আমার দৃষ্টিতে এই নিদর্শনগুলি সত্যিই ঐতিহাসিক স্তরের। প্রথমবারের মতো আমাদের কাছে শুধুমাত্র তৈরি পোশাক শিল্প নয় এমনকি তুলা উৎপাদন শিল্পে সংখ্যালঘুদের কাজে বাধ্য ও নির্যাতন করার প্রমাণ রয়েছে। আমি মনে করি এটি একটি গেম-চেঞ্জার হিসাবে কাজ করবে।

উল্লেখ্য, জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের ওপর এক দশক ধরে অত্যাচার চালাচ্ছে চীনা কমিউনিস্ট সরকার। চীনের সেনাবাহিনী ও পুলিশ উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার এবং ন্যূনতম স্বাচ্ছন্দ্যটুকুও কেড়ে নিয়েছে। নিজ ধর্ম পালনের অধিকারটুকুও তাদের নেই।

সূত্র: বিবিসি

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।