ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে কঠোরতা বাড়িয়েছে পাকিস্তান: রিপোর্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২১
গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে কঠোরতা বাড়িয়েছে পাকিস্তান: রিপোর্ট

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট ২০২১-এ বলেছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান সরকার ২০২০ সালে গণমাধ্যম, রাজনৈতিক বিরোধী দল এবং সুশীল সমাজের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যস্থা জোরদার করেছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ হয়রানি করেছে এবং মাঝে মধ্যে সরকারি নীতির সমালোচনা করার জন্য মানবাধিকার রক্ষাকারী এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করছে।

 

ডন সম্পাদক মীর শাকিল-উর-রেহমানসহ রাজনৈতিক বিরোধী ও সমালোচকদের আটক করার জন্য সরকার দেশটির দুর্নীতি বিরোধী পর্যবেক্ষক ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) মোতায়েন করেছে।

রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর পাকিস্তানের ক্রমাগত হামলা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়টি দেশটিকে ক্রমবর্ধমান বিপজ্জনক পথে নিয়ে যাচ্ছে।  

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, সরকারের সমালোচনাকারী বিরোধী দলীয় নেতা, একটিভিস্ট এবং সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তারা স্বৈরাচারী শাসনের একটি হলমার্ক, গণতন্ত্র নয়।

উপরন্তু, এই প্রতিবেদনে ২০২০ সালে পাকিস্তানের আহমাদিয়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে ব্লাসফেমির অভিযোগে অন্তত চারজন আহমাদি নিহত হয়েছে। সরকার ব্লাসফেমি আইনের বিধান সংশোধন বা বাতিল করতে ব্যর্থ হয়েছে।  

বেশ কয়েকজন নেতৃস্থানীয় নারী সাংবাদিক আগস্ট মাসে একটি বিবৃতিতে সামাজিক গণমাধ্যমে নারীদের বিরুদ্ধে হয়রানির নিন্দা জানান। বিশেষ করে নারী সাংবাদিক ও ধারাভাষ্যকারদের হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়, যারা সরকারের সমালোচনা করে।  

সেপ্টেম্বর মাসে লাহোরের একজন পুলিশ প্রধান একটি প্রকাশ্য বিবৃতি দেন। তিনি বলেন, পাঞ্জাবের একটি হাইওয়েতে গণধর্ষণের শিকার এক মহিলাকে দোষী করা হয়েছে, কারণ গভীর রাতে মোটরওয়েতে তিনি স্বামীর অনুমতি ছাড়াই ভ্রমণ করছিলেন।  

এছাড়া পাকিস্তান জুড়ে পারিবারিক সহিংসতা বেড়েছে। মার্চের পর লকডাউনের সময় তা আর খারাপ অবস্থার দিকে গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২১
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।