ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

করোনার ‘ইন্ডিয়ান ডাবল মিউটেশন’ দ্রুত ছড়াচ্ছে ইউরোপে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২১
করোনার ‘ইন্ডিয়ান ডাবল মিউটেশন’ দ্রুত ছড়াচ্ছে ইউরোপে

ঢাকা: করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব। এদিকে, গত মার্চে করোনার নতুন একটি রূপ ধরা পড়ে।

যা ডেনমার্ক ও নরওয়ের রোগীদের দেহে এ ধরনের ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

সম্পূর্ণ নতুন হওয়ায় আগে কোনো ধারণা না থাকায় তাতে নড়েচড়ে বসেন বিশেষজ্ঞরা। নতুন এই ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল এবং সংক্রমণের বিস্তারভেদে এর নাম দেওয়া হয় ‘দি ইন্ডিয়ান ডাবল মিউটেশন’।

ডেনমার্কে এ পর্যন্ত ১১ জন, নরওয়েতে একজন, যুক্তরাজ্যে ৭৩ জন এবং স্কটল্যান্ডে চারজন রোগীর শরীরে করোনার নতুন রূপ ধরা পড়ে। তবে সুইডেনে আক্রান্ত হওয়ার কোনো তথ্য নেই।

ভারতে হঠাৎ করেই এবং অতি দ্রুততার সঙ্গে কোভিড-১৯ ছড়ানোর জন্য এই নতুন ধরনের করোনাভাইরাসকেই দায়ী করছেন গবেষকরা। কিন্তু যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ-আফ্রিকান করোনা টাইপের ডামাডোলে এটি তেমন আলোচনায় আসেনি।

জরিপে দেখা যায়, যাদের দেহে ‘দি ইন্ডিয়ান ডাবল মিউটেশন’ এর অস্তিত্ব ধরা পড়েছে, তারা প্রত্যেকেই পরস্পরের কোনো না কোনোভাবে পরিচিত এবং যেদেশে (ভারতে) ভাইরাসটি সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত করছে, সে দেশের সঙ্গেও তাদের যোগসূত্র ছিল। ভাইরাসটি তাদের মধ্যেও সংক্রমিত হতে সক্ষম বলে মনে করা হচ্ছে, যাদের এরই মধ্যে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে বা এরই মধ্যে যাদের একবার করোনা হয়েছে।

নরওয়েজিয়ান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র এস্পেন রোস্টরপ নাকস্তাদ বলেন, টিকা নেওয়ার পরও ‘ভারতীয় ডাবল মিউটেশন’ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন যে কেউ।

ভারতীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে ‘ডাবল মিউটেশন’ ভাইরাসটি দেহের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাকে পাশ কাটিয়ে দেহে প্রবেশ করতে পারে এবং এতে সহজেই মানুষের দেহে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।

বাংলাদেশ সময়: ০৭০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।