ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

চীন-নেপাল সীমান্ত স্তম্ভ নিখোঁজ, নেপালের সীমান্তে উদ্বেগ 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৪ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২১
চীন-নেপাল সীমান্ত স্তম্ভ নিখোঁজ, নেপালের সীমান্তে উদ্বেগ 

চীন তার প্রতিবেশী দেশ নেপালের সীমানায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে। জানা গেছে, হিমালয় জাতির দৌলখা জেলায় সীমান্ত স্তম্ভগুলি অদৃশ্য হয়ে গেছে।

এটি চীনের আন্তর্জাতিক সীমান্তের প্রতি সম্পূর্ণ অবহেলার আরেকটি উদাহরণ বলে মনে করা হচ্ছে।

লাল পতাকা উত্তোলন করে নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনার কথা দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে।

ইইউ রিপোর্টারের মতে, চীন-নেপাল সীমান্ত ঐতিহাসিকভাবে একটি নিয়ন্ত্রিত সীমান্ত ব্যবস্থা, যা ১৯৬০ সালে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক চুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত। যার ফলে পরবর্তীতে ১৯৬১ সালের সীমান্ত চুক্তি গঠন করা হয়, সীমানা নির্ধারণের স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। ১৯৬১ সালের চুক্তির পর নেপাল ও চীনের মধ্যে সীমানা রেখায় প্রধানত ৭৬টি স্থায়ী সীমান্ত স্তম্ভের উত্থানসহ বেশ কয়েকটি পরিবর্তন দেখা গেছে। চীন এখন তার পক্ষে স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে।

গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে নেপালের কিছু ভূখণ্ড দখল করে চীন এবং নেপালের সীমান্তের একটি প্রত্যন্ত জেলা হুমলায় ১১টি ভবন নির্মাণ করে। বেশ কয়েক বছর আগে নেপালের সীমান্ত স্তম্ভ নিখোঁজ হওয়ার স্থানে চীন এই ভবনগুলি নির্মাণ করেছিল।  

ওই ঘটনায় নেপালে চীনা দূতাবাসের বাইরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। সেখানে নেপালীরা চীনা সম্প্রসারণবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।  

চীনের সম্প্রসারণবাদী নীতির কারণেই নেপালে সীমান্ত স্তম্ভের স্থানচ্যুতি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এভাবেই তারা অন্য দেশের সীমানা দখলে নেয়।

নেপালের কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক জরিপ অনুযায়ী, চীন অবৈধভাবে গোর্খা, দোলাখা, হুমলা, দরচুলা, সিন্ধুপালচক, রাসুওয়া এবং সাংহুওয়াসভাসহ বেশ কয়েকটি সীমান্তবর্তী জেলায় দখল নিয়েছে।  

বছরের পর বছর এ ধরনের ঘটনার ফলে দুই দেশের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এখন আর থাকছে না।

প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) দখলদারি ত্বরান্বিত করার পক্ষে সমর্থন করায় আরও বেশি করে নেপালের সীমান্ত স্তম্ভ উধাও হয়ে যাচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২১
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।