ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

খালি হয়ে গেছে অফিস, কর্মী পাচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২১
খালি হয়ে গেছে অফিস, কর্মী পাচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া

করোনার বিধিনিষেধের পর খুলছে অস্ট্রেলিয়ার রেস্টুরেন্ট, স্টেডিয়ামসহ বিনোদনকেন্দ্র। কিন্তু সেগুলো পুরোদস্তুর চালু করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপকরা।

দেখা দিয়েছে প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাব।

রয়টার্সের বরাত দিয়ে ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার সময় বিপুল মৌসুমি কর্মী আর বিদেশি শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়া ছেড়েছেন। সীমান্তে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের কারণে নতুন শিক্ষার্থী বা কর্মীরা এই সময়ের মধ্যে আসতে পারেননি। যারা গিয়েছেন তাদের অনেকেও ফিরে আসেননি। যে কারণে মৌসুমি কর্মী সংকটে পড়েছে বিভিন্ন ব্যবসা খাত। প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি চালু হলেও প্রয়োজনীয় কর্মী ছাড়াই তাই কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে অনেককে।

আতিথেয়তানির্ভর খাতের জন্য কর্মী ভাড়া করে এমন একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক রোনডা এভারিংহাম। পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘লকডাউনের আগে একটি চাকরির বিজ্ঞপ্তি দিলে কয়েকশ আবেদন জমা পড়ত। এখন যদি পাঁচটি পাওয়া যায় তাহলেই আপনি সৌভাগ্যবান। এর মধ্যে তিনটি পাবেন উপযুক্ত। যেই সময় আপনি তাদের ডাকবেন ততক্ষণে দেখা যাবে তারা অন্য কোনো চাকরি পেয়ে গেছেন। ’

সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির দুটি বড় শহর ও মেলবোর্নের সেবা নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। ১১ অক্টোবর সিডনি ও গত সপ্তাহে মেলবোর্নে কোভিডের নিয়ম শিথিল করা হয়েছে।

কর্মী সংকটের মাঠের এই চিত্র ধরা পড়েছে দেশটির সরকারি পরিসংখ্যানেও। ‘নন-রেসিডেন্ট’ কাজের ভিসায় আগতদের সংখ্যা ২০২০ সালের শুরুর তুলনায় চলতি বছরের জুন প্রান্তিকে দুই তৃতীয়াংশ কম ছিল। সেই সঙ্গে দেশটিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা করোনার আগের সময়ের চেয়ে তিন লাখ কমে গেছে।

অস্ট্রেলিয়ার ২২ লাখ অনিয়মিত কর্মীর এক চতুর্থাংশই বাস করেন সিডনিতে। চার মাসের লকডাউন শেষে শহরটিতে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরুর অনুমতি মিলেছে। ২৫ অক্টোবর সাড়ে ২২ হাজার দর্শক নিয়ে ফুটবল ম্যাচ আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রথম বড় আয়োজনটি হতে যাচ্ছে। এজন্য ৭৩০ জন রাঁধুনি, পরিচ্ছন্নতা বা নিরাপত্তাকর্মী প্রয়োজন।  

একই সময় অন্যকোনো বড় আয়োজন না থাকায় এই লোকবল যোগাড় করতে পেরেছেন তারা। কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি জানান, আতিথেয়তা ব্যবসায় প্রত্যেকেই এখন কর্মী চ্যালেঞ্জে রয়েছেন।

এমন অবস্থায় নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য সরকার এবার বড় সংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থী নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। সেই সঙ্গে কর্মী চাহিদা মেটাতে এক বছরে চার লাখ অভিবাসীকে নিতে চান তারা, যা কোভিড পূর্ববর্তী সময়ের চেয়েও দ্বিগুণ। কিন্তু সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশটির নাগরিক, বাসিন্দা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাই শুধু অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২১
জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।